সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের মথুরেশপুর ইউপি নির্বাচনের ১নং ওয়ার্ডের ব্যালট পেপার পুনরায় গননার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের মথুরেশপুর ইউপি নির্বাচনের ১নং ওয়ার্ডের ভোটের ব্যালট পেপার পুনরায় গননার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, মথুরেশপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক গাইনের ছেলে ও ১নং ওয়ার্ডের মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মোঃ নুরুস সালাম গাইন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৮ নভেম্বর নির্বাচনের পর ভোটের ব্যালট পেপার গননায় সন্দেহ হওয়ায় আমি শুধু মাত্র সাধারণ সদস্যদের ব্যলট গুলো পুনরায় গণনার জন্য প্রিজাইডিং অফিসার নয়ন কুমার সাহাকে অনুরোধ জানালে তিনি প্রথমে গননার আশ^াস দেন। এরপর প্রায় এক ঘন্টা পর তিনি গননার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন, পুনরায় গননার প্রয়োজন হলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে গননা করতে হবে। এর আগে তিনি আমাদের সাথে প্রতারণা করে মোবাইলে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে আমাদের জানান, দ্বিতীয়বার গননার কোন সুযোগ নেই। আমি এবং আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর জয় পরাজয়ের প্রার্থক্য কত ভোটে হয়েছে সেটিও তিনি না জানিয়ে প্রতারনার আশ্রয় গ্রহণ করেন। এমনকি ভোট গননার পূর্বে সকল প্রার্থীর এজেন্টদের নিকট থেকে আগে ভাগেই স্বাক্ষর নিয়ে প্রতারনার এই কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন। আমাদের ধারনা উক্ত প্রিজাইডিং অফিসার আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এসব অপকর্ম সম্পন্ন করেছেন।
তিনি বলেন, তার প্রতারণার অংশ হিসেবে কিছু ভোটারকে ভোট প্রদানের সীলটি (ক্রস সীল) না দিয়ে স্ট্যাম্প প্যাডের কালি আঙ্গুলে মাখিয়ে ব্যালট পেপারের প্রতীকের উপর ছাপ দিতে বলেন। পরবর্তীতে গণনার সময় উক্ত ব্যালট পেপার গুলি বাতিল মর্মে ঘোষণা দেন। উক্ত প্রিজাইডিং অফিসার পেশায় একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং আমার প্রতিদ্বন্দ্বি তালা প্রতীকের প্রার্থী তারই অধীনস্ত উক্ত ভোটকেন্দ্র অর্থাৎ বাগ বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং তার স্ত্রীও উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। এছাড়া ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী ভোট গণনার কাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত না হলেও তিনিও স্ব-উদ্যোগে তালা প্রতীকের কাজ করেছেন যা নিয়মবহির্ভূত। উক্ত দপ্তরী ইতিপূর্বে অন্যান্য নির্বাচনে অনুরূপ কোন কোন প্রার্থীর পক্ষে তঞ্চকতার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন মর্মে তিনি নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে অনেকের সাথে আলোচনা করেছেন। যা অন্যান্য সাধারণ সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোলিং এজেন্টগণের কাছ থেকে স্বাক্ষর গ্রহণের সত্যতা পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, উক্ত নির্বাচনে আমার পোলিং এজেন্টদের সহিত বিমাতা সূলভ আচরনসহ উক্ত কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নির্বাচনে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্ব করার কারণে আমি বিজয়ী হতে পারেনি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় তার ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের ভোটগুলো যাচাই-বাছাই অন্তে পুনরায় গণনার জন্য সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার শতাধিক কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিল।