সকালের যে অভ্যাসগুলো আপনাকে সুস্থ রাখবে
সর্বদা সুস্থ থাকার ইচ্ছা আমাদের সবার। তবে কেবল ইচ্ছা থাকলেই হবে না, সুস্থ থাকার জন্য কিছু নিয়মও মেনে চলা জরুরি। আপনার জীবনযাপনের ধরন বদলে দিতে পারে প্রতিদিন সকালের কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস। যেসব অভ্যাস সাহায্য করবে আপনাকে সুস্থ থাকতে।
আপনার সারাতা দিন ঠিক কীভাবে যাবে, তা নির্ভর করে আপনি সকালটা কীভাবে শুরু করবেন তার ওপর। তাই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস দিয়েই শুরু হোক দিনটা। শুরুটা সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর হওয়ার মানে হলো সুস্থ থাকার পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়া। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক সকালের কোন অভ্যাসগুলো আপনাকে সুস্থ রাখবে-
শরীরচর্চা
নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করলে তা আপনার দিনগুলো সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি কমে যাবে অসুখের আশঙ্কাও। প্রতিদিন সকালে অন্তত আধা ঘণ্টা সময় দিতে হবে শরীরচর্চার জন্য। বাড়ির কাছে পার্ক বা হাঁটার জায়গা থাকলে সেখানে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। প্রতিদিন হাঁটা বা দৌড়ানোর অভ্যাস করুন। এছাড়া সাইকেল চালানোর অভ্যাসও করতে পারেন।
মেডিটেশন বা ধ্যান
প্রতিদিন সকালে মেডিটেশন করার অভ্যাস করতে হবে। যার যার ধর্মীয় প্রার্থনাও এক্ষেত্রে কার্যকরী। এছাড়া নির্দিষ্ট সময় ধরে মেডিটেশন করলে তা আপনাকে মানসিক অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। এতে কমে আসবে নানারকম দুশ্চিন্তা। শান্ত থাকবে আপনার মন। শরীর ভালো থাকবে এবং আপনার কাজে মনোযোগও বাড়বে। সারাদিন কাজ করার স্পৃহা ফিরে পাবেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার
আমাদের সুস্থতার জন্য যেসব বিষয়ের ওপর বেশি নির্ভর করতে হয় তার একটি হলো খাবার। একদিন ঠিকভাবে খাবার না খেলেই তা আপনার শরীরের ভেতরের কার্যপ্রক্রিয়া নড়বড়ে করে দিতে পারে। তাই দিনের শুরুর খাবারের দিকে নজর দিন। পেট ভরে খান সব স্বাস্থ্যকর খাবার। সকালের খাবার সঠিক হলে সারাদিন সুন্দর কাটবে। শরীরও থাকবে সুস্থ।
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা
এই রুটিন মেনে চলা কঠিন কিছু নয়। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে গেলে পরদিন ভোরে একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা যায়। আপনার সুবিধামতো সময় নির্ধারণ করে নিন। সবচেয়ে ভালো হয় আগেভাগে ঘুমাতে গিয়ে আগেভাগে উঠতে পারলে। ভোরের নির্মল বাতাস আমাদের ফুসফুসের জন্য উপকারী। খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। যত দেরিতে ঘুম থেকে উঠবেন, আপনার কাছে দিন ততই ছোট হয়ে আসবে। এর প্রভাব পড়বে আপনার স্বাস্থ্যের ওপরেও।
সঠিকভাবে দাঁত মাজুন
আমাদের বেশিরভাগেরই অভ্যাস হলো কোনোরকম দায়সারা ভাবে দাঁত মেজে নেয়া। মাজতে হবে বলে তাড়াহুড়ো করে দাঁত মেজে নিলে আসলে খুব একটা লাভ হয় না। মুখের ভেতর জমে থাকা ক্ষতিকর ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া দূর করতে হলে কিছুটা সময় নিয়ে দাঁত মাজতে হবে। এতে দাঁত ও মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আপনি সারাদিন সতেজ অনুভব করবেন।