৪৬ ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল
নিউজ ডেস্ক:
মহামারি করোনাভাইরাসে যখন বিশ্বে বিনিয়োগের পরিবেশ সঙ্কুচিত ঠিক তখনই বাংলাদেশে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৮৪ কোটি ৭০ লাখ ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে বাংলাদেশে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি।
২০২০-২১ অর্থবছরের এ তিন মাসে বাংলাদেশ ৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের এফডিআই পেয়েছিল। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে নিট এফডিআই বেড়েছে আরো বেশি, প্রায় ৫০ শতাংশ। এ তিন মাসে নিট এফডিআইয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ কোটি ডলারে। গত বছরের এ তিন মাসে নিট বিনিয়োগের অঙ্ক ছিল ২২ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো বেশ কিছু বাধা দূরে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে। তবে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, অর্থায়নের সীমিত উপকরণ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, শ্রম আইন কার্যকরে শিথিলতা এবং দুর্নীতির মতো বিষয় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগে এখনো বড় বাধা। তাই বিনিয়োগ আকর্ষণে দেশের সংশ্লিষ্ট পদ্ধতি আরো সহজ করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সঞ্চার করতে হবে। বিদেশিদের জন্য বরাদ্দ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় বিনিয়োগ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়েও নজর দিতে হবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে হঠাৎ করোনা আসার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি স্থবির হয়ে যায়। এর মধ্যে আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। যেসব দেশ মূলত বিনিয়োগ করে তাদের সঙ্গে সরাসরি না পারলেও ভার্চুয়ালি যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। যাদের বিনিয়োগ আছে তাদের সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ এবং নীতি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তবে দেশে এখনো কাক্সিক্ষত বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি। সেটি বাড়াতে হবে। বিনিয়োগ বাড়লে শুধু টাকাই আসে না, এর সঙ্গে প্রযুক্তি ও দক্ষ জনবলও আসে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মোহাম্মাদ রহমাতুল মুনিম বলেন, বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো করছে। রাজস্ব আহরণ গতিশীল রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগে বিভিন্ন প্রণোদনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার স্ট্যাবল, সুদ হার অনুকূলে। এছাড়া বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পূর্বানুমতি দরকার পড়ে না, নিটা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহজেই বিনিয়োগ করা যায়। মুনাফাসহ রিটার্ন ফেরতের ক্ষেত্রেও অনুমতি নিতেও হয় না। সুতরাং খুব সহজেই বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ অনুকূলে ও ব্যবসাবান্ধব সরকার রয়েছে।
বিডার পরিচালক মো. আরিফুল হক বলেন, দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সেবার মানও বাড়ছে। এছাড়া সব কার্যক্রমের ৯৫ শতাংশ অনলাইনের আওতায় আনা হচ্ছে।