আজ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী দিবস
নিউজ ডেস্ক:
প্রতি বছর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশে কিছু দিবস পালিত হয়। ঐ নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই সব দিবস পালিত হয়। পালনীয় সেই সব দিবসগুলোর মধ্যে একটি হলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী দিবস। প্রতি বছর ১৭ নভেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী দিবস পালন করা হয়ে থাকে।
১৯৩৯ সালের শেষদিকে স্বাধীন চেকোস্লোভাকিয়া প্রজাতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেয়া ছাত্রদের মধ্যে ১২০০ ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ও পরে বিনা বিচারে নয়জন ছাত্র এবং শিক্ষককে ফাসি দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে স্মরণ করে ছাত্রদের সংগ্রামী মানসিকতাকে কুর্ণিশ করার জন্য এবং আরো নানা ক্ষেত্রে তাদের কর্মতৎপরতাকে, প্রতিভা ও মেধাকে সম্মান জানানোর জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে।
ছাত্রদল দেশের ভবিষ্যৎ। শিক্ষালাভের জন্য বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে যে পরিশ্রম এবং লড়াই করতে হয়, অবশেষে দেশের উন্নতিতেই তা সাহায্য করে। পড়াশুনার জন্য পদে পদে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয় কত ছাত্রকে। এই লড়াই ছাত্রজীবনের সঙ্গে একীভূত হয়ে আছে। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, অন্যায়ের প্রতিবাদে ছাত্রদের সক্রিয় অবদানের কথাও উল্লেখযোগ্য।
১৯৩৯ সালের শেষদিকে স্বাধীন চেকোস্লোভাকিয়া প্রজাতন্ত্রের দাবিতে ও জান অপলেটাল এবং শ্রমিক ভ্যাক্লাভ সেদেলেকের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ স্বরূপ প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ নভেম্বর বিক্ষোভ জমায়েত কর্মসূচী গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্ররা। বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হলে জার্মান নাৎসি বাহিনী সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ঘিরে ফেলে নয়জন ছাত্রনেতাকে হত্যা করে এবং ১২০০ ছাত্রকে শচসেনহাউসনে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে তাদেরকেও হত্যা করে।
১৯৪১ সালে লন্ডনের আন্তর্জাতিক ছাত্র সংস্থা এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ১৭ নভেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল। ২০০০ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ এই দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই বিশেষ দিনটিতে ছাত্ররা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। বিভিন্ন সভা সম্মেলনের আয়োজন করে ছাত্ররা। এছাড়াও বিভিন্নরকম প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাও করা হয়ে থাকে। এমনকি খাদ্য, পানীয় সহযোগে উৎসবের আয়োজনও করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্র দিবস কেন্দ্ৰিক লেখালেখি কিংবা ছবির সাহায্যে এই দিনটি সম্পর্কে নানা তথ্য জানানো হয় জনসাধারণকে এবং দিনটির গুরুত্ব কতখানি সে-বিষয়েও মানুষকে সচেতন করে তোলা হয়। বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্র ও গ্রিসে দিনটি জাতীয় ছুটির দিন হিসাবেও পালিত হয়।