খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :
আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০.৩০ টায় খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান সরদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, যুবলীগের সাবেক আয়বাহক, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহনেওয়াজ ডালিম। ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন কান্তি মন্ডলের সঞ্চালনায় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দীনেশ চন্দ্র মন্ডল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্যানেল চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ বাচ্চু, ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি ছায়ফুল্লাহ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নেতা নুরুজ্জামান সরদার, বিমল কান্তি মন্ডল, রিপন হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবাদুল মোল্যা, ইউপি সদস্য হোসেন আলী, ইউপি সদস্য আঃ ছাত্তার, যুবলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক রমজান আলি মোড়ল, স্বেচ্ছাসবেকলীগ সভাপতি শ্যামাপদ ঘোষ, ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগ সেক্রেটারী আশীষ কুমার, ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি কওছার সানা, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। ইউনিয়ন আ’লীগের ৬৫ জন সদস্যের মধ্যে ১ জন মৃতবরণ ও ১ জন বিদেশে থাকায় বাকী ৬৩ জনের মধ্যে ৪১ জন উপস্থিত সম্মেলনে অংশ নেন। এছাড়া ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি/সেক্রেটারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদকদের অংশ গ্রহনে সভায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ নেওয়াজ ডালিম, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন কান্তি মন্ডল ও রমজান আলি মোড়ল এর নাম সর্বসম্মতিক্রমে উর্দ্ধতন দলীয় কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান ডালিম ও অন্য বক্তাগণ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুছ, মিলন কান্তি মন্ডল সাধারণ সম্পাদক। কমিটিতে সকল সদস্য গঠনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত। তারা আমার অনুগত কেউ নন, বরং নৌকার প্রার্থী ও আ’লীগের পরীক্ষিত কর্মী হিসাবে তারা আমার পক্ষে কাজ করে থাকেন। বৈধ কমিটি থাকতে কোন প্রকার সম্মেলন না করে গোপনে পকেট কমিটি দেওয়ার গ্রহনযোগ্যতা যেমন নেই, তেমনি তার কোন ভিত্তিও নেই। সেই অবৈধ পকেট কমিটির কতিপয় নেতা আমার পিতাকে রাজাকার সাজাতে অপচেষ্টা ও যুদ্ধাপরাধীর মামলা করেছে। ইউএনও মহোদয়ের নেতৃত্বে তদন্ত হয়েছে। উপজেলার শত শত মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ১৫ জনের স্বাক্ষর জাল করে অভিযোগ করা হলেও তদন্তের সময় মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত হননি। বরং খাজরা ইউনিয়নের প্রায় সকল মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ তাদের অভিযোগ মিথ্যা বলে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। তথাকথিত কমিটির অহিদুল কখনো খাজরার বাসিন্দা ছিলেননা, কেউ তাকে চেনেননা। হঠাৎ করে রুহুল কুদ্দুছের কাধে ভর করে নির্বাচনে আসতে অর্থের বিনিময়ে নেতা সেজেছেন, ষড়যন্ত্র ও এলাকায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে অস্থিশিল পরিবেশ সৃষ্টি করে চলেছেন। আমরা ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। সকল আন্দোলন ও ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালে সহিংসতা প্রতিরোধ করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে থেকে এমপি নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এসেছিলাম। এবারও সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে আমরা প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নৌকার ভোট প্রার্থনা করে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবো ইনশাল্লাহ।