১৫ নভেম্বর ১৯৭১: সাতক্ষীরাতে মুক্তিবাহিনী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালায়
নিউজ ডেস্ক:
১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর দিনটি ছিল সোমবার। এই দিন সাতক্ষীরাতে মুক্তিবাহিনী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করে দেয়।
পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়, গত ২৫ মার্চের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়জিত চারজন সিএসপি ও একজন ইপিএস অফিসারের মৃত্যৃ হয়েছে।
এদের মধ্যে কুষ্টিয়ার ডিসি নাসিম ওয়াকার আহমেদ ৩১ মার্চ, চুয়াডাঙ্গার এসডিও মোহাম্মদ ইকবাল ১৫ এপ্রিল, নঁওগার এসডিও মোহাম্মদ নিরারুল হামিদ ১৬ এপ্রিল, সিরাজগঞ্জের এসডিও এ.কে শামসুদ্দিন ২০ মে এবং যশোরের সাব-জজ মোজাফফর হোসেন (ইপিসিএস) ৩ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
ঢাকার বাসাবো এলাকায় শান্তিবাহিনীর সভা চলাকালে গেরিলারা হামলা করলে তিন জন শান্তিবাহিনীর সদস্য নিহত হয়।
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের বিশেষ দূত ও আজাদ কাশ্মীরের প্রশাসক ইব্রাহিম খান তিউনিসে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যার সমাধান কল্পে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাছে মাইন বিস্ফোরণে দুজন কুটনীতিক নিহত হন। এরাঁ ঢাকাস্ত পশ্চিম জার্মান কনসুলেটের কর্মকর্তা ছিলেন। এদিকে শীতলক্ষ্মা তীরে ডকে বোমা বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়।
নোয়াখালীর ছাগলনাইয়াতে পাক অবস্থানের উপর হামলা চালিয়ে মুক্তিবাহিনী পাঁচ জন পাকসৈন্যকে হত্যা করে।
১৫ নভেম্বর ১৯৭১ নিউজউইক পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন, ‘ যখন থেকে বিপুল পরিমাণে শরণার্থীরা আসতে শুরু করল, বলতে পারেন তখন থেকে পাকিস্তানের সমস্যার সঙ্গে ভারত জড়িয়ে পড়েছে। গেরিলাদের কিছু প্রশিক্ষণ আমাদের ভূখন্ডে হচ্ছে বটে, তবে সবটুকু নয়।
এখনও গেরিলারা আমাদের ওপর নির্ভরশীল নয়। আপনারা জানেন, অধিকাংশ গেরিলা পূর্ববঙ্গের আধা সামরিক বাহিনী থেকে আগত। তারাই নতুনদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। বাঙালীরা মনে করে সেখানকার সাধারণ মানুষের চেতনা গভীরভাবে ক্ষত-বিক্ষত। এই বোধ যতক্ষণ রয়েছে সাড়ে সাত কোটি মানুষকে হত্যা না করে পাকিস্তানী সৈন্যরা পূর্ববঙ্গ দখল করতে পারবে না।
ভারত এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ পরোক্ষভাবে প্রতিহত করতে পারে। আমরা বলতে দ্বিধা নেই আমিও যদি বাঙালীদের জায়গায় অবস্থান করতাম, তাহলে আমি যুদ্ধ করতাম। আমরা স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এবং পৃথিবীর সর্বত্র স্বাধীনতার যুদ্ধকে উৎসাহ প্রদান করি।’