আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস
নিউজ ডেস্ক:
১৪ নভেম্বর, আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হলো বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিশ্বময় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি ক্যাম্পেইন, যা প্রতিবছর ১৪ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশসহ প্রায় ১৭০টি দেশ পালন করে দিবসটি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ডায়াবেটিস সেবা নিতে আর দেরি নয়’।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বাডাস) এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এ হিসাবে মোট জনগোষ্ঠীর এক-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিস রোগটি বহন করছেন। চলমান বৈশ্বিক মহামারি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরো ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।
বিভিন্ন গবেষণা ও দেশে মহামারি সংক্রমিত রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। দেশে গত সাত সপ্তাহে মহামারি সংক্রমিতদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ ডায়াবেটিস আক্রান্ত ছিলেন। একই সঙ্গে মহামারি সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ার পর ৭৫ শতাংশ ডায়াবেটিস আক্রান্ত কোনো না কোনো দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। আবার মহামারিতে আক্রান্ত হওয়ার পর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে।
বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায়, বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সাল-এ ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এদিন বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক বেনটিং জন্ম নিয়েছিলেন এবং তিনি বিজ্ঞানী চার্লস বেস্টের সঙ্গে একত্রে ইনসুলিন আবিষ্কার করেছিলেন।
এ রোগের একটি জটিলতা ‘ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিস’ হ্রাস করার উদ্যোগ উৎসাহিত করা। আর শিশুদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনকে আরো জনপ্রিয় করে তোলা। এ দিবসের নীল বৃত্তের ‘লোগো’টি ডায়াবেটিসকে পরাভূত করার জন্য বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের সূচক।
লক্ষ্য হলো, পৃথিবীতে কোনো শিশুই যেন ডায়াবেটিসে মারা না যায়। ডায়াবেটিসের মতো ক্রনিক রোগ ব্যক্তি, পরিবার, দেশ, এমনকি সারা পৃথিবীর জন্য গুরুতর ঝুঁকি বহন করে-এমন সত্যটি জাতিসংঘ অনুধাবন করে ২০০৬ সালে একে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। পৃথিবীতে ২৫০ মিলিয়ন লোক ডায়াবেটিস নিয়ে জীবন যাপন করছে।