টি-২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড-ফ্যাক্টফাইল
স্পোর্টস ডেস্কঃ
আজ বুধবার টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম সেমি-ফাইনালে পরস্পরের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। দুই দলের ফ্যাক্টফাইল নিচে দেয়া হল।
ইংল্যান্ড:
২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোরার: জস বাটলার -২৪০ রান
২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বাধিক উইকেট শিকারি: আদিল রশিদ- ৮ উইকেট
সেমি-ফাইনালের পথ(সুপার টুয়েলভ):
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয়
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়
শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৬ রানের জয়
দক্ষিন আফ্রিকার কাছে ১০ রানের পরাজয়
নিউজিল্যান্ড:
২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোরার: মার্টিন গাপটিল -১৭৬ রান
২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বাধিক উইকেট শিকারি : ট্রেন্ট বোল্ট -১১ উইকেট
সেমি-ফাইনালের পথ(সুপার টুয়েলভ):
পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটের পরাজয়
ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ রানের জয়
ইামিবিয়ার বিপক্ষে ৫২ রানের জয়
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়
হেড টু হেড:
নিউজিল্যান্ডের জয় ৭ ম্যাচে
কোন ফলাফল হয়নি ১ ম্যাচে
প্রথম আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ ২০০৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, ডারবান
#দক্ষিন আফ্রিকায় বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে দুই দলের প্রথম মোকাবেলায় নিউজিল্যান্ড জয়লাভ করে।
নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে, মাত্র ৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর স্কট স্টাইরিস (৪২) ক্রেইগ ম্যাকমিলান (৫৭) দলকে লড়াকু ইনিংস গড়তে সহায়তা করেন।
জবাবে জয়ের পথে বেশ ভালভাবেই টিকে ছিল ইংল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে ড্যারেন ম্যাডি ও বিক্রম সোলাঙ্কি ৬৪ রানের যোগান দেন দলকে। সরাসরি থ্রোয়িংয়ে রান আউট হবার আগে ম্যাডি ৩১ বলে ৫০ রান সংগ্রহ করেন। ম্যাচে রান আউট এর শিকার হয়ে ইংলিশরা তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা থেকেও ছিটকে পড়ে।
ম্যাচে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের শেষ দুই ওভার থেকে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২০ রান। কিন্তু ওয়াইজ শাহ রান আউট হয়ে বিদায় নিলে ইংলিশদের জয়ের আশা অনেকটাই ফিকে হয়ে পড়ে। এর আগে তিনি লুক রাইটকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪২ রান।
শেন বন্ডের পরের বলে ডিপ কভার অঞ্চলে ধরা পড়েন দিমিত্রি মাসকারেনহাস। তিন বল পর একই ভাবে সাজঘরে ফিরেন রাইট।
দুই দলের সর্বশেষ টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ২০১৯ সালের ১০ নভেম্বর, অকল্যান্ড
চার মাস আগে ৫০ ওভার বিশ্বকাপের ফাইনালে জয় পরাজয় নির্ধারনি সুপার ওভারের ঘটনাকেই মনে করিয়ে দেয় ওই ম্যাচে। সিরিজ নির্ধারনী পঞ্চম ম্যাচটি বৃস্টির কারণে নামিয়ে আনা হয় ১১ ওভারে। ক্রিস জর্ডানের শেষ বলের বাউন্ডারি ১৪৬ রানের সমতায় পৌছে দেয় দুই দলকে।
সেখানেও সুপার ওভারে জনি বেয়ারস্টো (৮) ও ইয়োইন মরগান (৯) ইংল্যান্ডকে ১৭ রান এনে দেন। জবাবে আট রানেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ফলে ৯ রানে পিছিয়ে পড়ে কিউইরা।
এর আগে মার্টিন গাপটিল (৫০) ও কলিন মুনরো (৪৬) নিউজিল্যান্ডকে ১৪৬ রানে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন। জবাবে শুরুতে ইংল্যান্ড তিন উইকেট হারিয়ে বসলেও বেয়ারস্টো (৪৭) ও স্যাম কারান (২৪) মিলে ইংলিশদের প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ফিরিয়ে আনেন। এই জুটি ২৪ বলের মোকাবেলায় গড়ে তুলেন ৬১ রানের পার্টনারশীপ।