সাতক্ষীরা সদরের শিবপুর ইউনিয়নে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
শহর প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ
মনোনীত নৌকার প্রার্থী শওকত আলী ও তার বাহিনী কর্তৃক ভোট কেন্দ্র দখল ও
জোরপূর্বক ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের আশাংকা এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে
সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের
আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, শিবপুর
ইউনিয়নের গোদাঘাটা গ্রামের মৃত সুলতান আহমেদ সরদারের পুত্র ও আনারস
প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস.এম আবুল কালাম আজাদ।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন
পরিষদ নির্বাচনে আমি শিবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিলের
পর থেকে নৌকার প্রার্থী শওকত আলী ও তার বাহিনী তা প্রত্যাহারের জন্য
হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করিতে থাকেন। তারা আমার প্রচারে নিয়োজিত
কর্মী-সমর্থকদের প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকিও দিচ্ছেন। এছাড়া আমার কর্মী
শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের মুকুল হোসেন ও নেবাখালী গ্রামের শেখ সাখাওয়াত
হোসেনকেও তারা হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ১১
নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী শওকত আলী এবং
তার কর্মী বাহিনী প্রকাশ্যে জনসভায় হুমকি দিচ্ছেন যে, যদি নৌকায় ভোট দিতে
কষ্ট হয়, তাহলে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার কোন দরকার নেই। এছাড়া তারা প্রকাশ্যে
আস্ফালন করে বেড়াচ্ছেন যে, জোরপূর্বক ভোট কেন্দ্র দখল করে নৌকার ব্যালট
পেপারে সিল মেরে নিবেন। এমতাবস্থায় আমি আশাংকা প্রকাশ করছি যে, ৫নং
শিবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে পায়রাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২নং
ওয়ার্ডে ঝিকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩নং ওয়ার্ডে খানপুর সিনিয়র আলিম
মাদ্রাসা ও ৯নং ওয়ার্ডে শিয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
কেন্দ্রগুলো অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি এ সময় এসব কেন্দ্রে বাড়তি
নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আরো
বলেন, নির্বাচনী মাঠের অবস্থা অসহনীয় এবং ভয়াবহ। দেশের মানুষের আস্থার
নির্বাচন বোধহয় স্বপ্নই থেকে যাবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় তার
কর্মী-সমর্থকদের জীবনের নিরাপত্তা এবং আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ যাতে অবাধ,
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং
অফিসার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা
নির্বাচন অফিসার, অফিসার ইনচার্জ সদর থানাসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন
কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।