রোববার পর্যন্ত থাকছে পরিবহন ধর্মঘট
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে সারাদেশে বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন মালিকরা।
ফলে রাজধানীসহ সারা দেশেই সাধারণ মানুষকে পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। আর জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবি আদায় না হলে চলমান ধর্মঘট অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিক সমিতি।
অন্যদিকে পরিবহন মালিকদের প্রভাবশালী নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলছেন, বৈঠক যেহেতু রোববার, তার আগে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ‘কোনো সম্ভাবনা নেই’।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী শুক্রবার ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন; তেলের দামের অজুহাতে পণ্যের দাম যে না বাড়ে, সে বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
কিন্তু সমঝোতার চেষ্টা বা কঠোর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় রোববার পর্যন্ত মানুষের ভোগান্তিই যেন অবধারিত হয়ে উঠছে।
সরকার বুধবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পর বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কয়েকটি সংগঠন। সে অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকেই সারাদেশে বাস ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।