সাতক্ষীরায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামা কালী পূজা ও দীপাবলী উৎসব
নিজস্ব প্রতিনিধি :
“মনের অন্ধকার দূর হোক, আলোয় আলোকিত হোক সকলের অন্তর” এই ব্রতকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামা কালী পূজা ও দীপাবলী উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাতে সাতক্ষীরা শহরের রাজার বাগান দাসপাড়া কালী মন্দিরের আয়োজনে শ্যামা কালী পূজা ও দীপাবলী উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদীপ জ্বালিয়ে কালি পূজা ও দীপাবলী উৎসব উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মন্টু কুমার দাসু, কার্তিক দাস, প্রকাশ কুমার দাস, মিলন দাস, তনু দাস প্রমুখ। দুর্গাপূজার বিজয়া পরবর্তী কার্তিক মাসের অমবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। অমাবস্যার রাতেই দীপাবলীর আয়োজন করা হয়। সনাতন ধর্মমতে অমাবস্যার সমস্ত অন্ধকার দূর করতে এই রাতে প্রদীপ জ্বালানো হয় যাতে পৃথিবী প্রতিনিয়ত অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা পায়। দেবী সৃষ্টিরক্ষায় মাতৃরূপে গৃহে গৃহে অবস্থান করেন। আবার অসুর বধে দেবী মাতংগিনীরূপে সব ধ্বংস করেন। সৃষ্টির রক্ষায় দেবতারা যখন ব্যর্থ, তখন বৈষ্ণব শক্তি শিব শবরূপে (মৃতদেহ) দেবীর আগমনপথে পড়ে রইলেন। মুন্ড-মালিনী উন্মাদিনী তার ডাকিনী-যোগিনী সংগে রণাঙ্গিনী বেশে ছুটে যাচ্ছেন। পায়ের নিচে শবরূপে (মৃত) পতি শিবকে দেখে দেবী লজ্জিত হয়ে জিভে কামড় দেন। যে দেবী রক্তপিপাসায় নিজের মস্তক কেটে ছিন্নমন্ডারূপে রক্তপান করছিলেন সেই দেবলজ্জায় রণে ক্ষান্ত হলেন। লজ্জাই নারীর ভূষণ- এ সত্যই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দু পূরাণমতে- কালী দেবী দুর্গারই একটি শক্তি। মহাভারত অনুসারে, কালী দুর্গার একটি রূপ (মহাভারত, ৪।১৯৫)। এছাড়া মহাভারতে উল্লেখ আছে, যিনি নিহত যোদ্ধা ও পশুদের আত্মাকে বহন করেন, তাঁর নাম কালরাত্রি বা কালী। দুর্গাপূজার বিজয়া পরবর্তী কার্তিক মাসের অমবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। অমাবস্যার রাতেই দীপাবলীর আয়োজন করা হয়। সনাতন ধর্মমতে অমাবস্যার সমস্ত অন্ধকার দূর করতে এই রাতে প্রদীপ জ্বালানো হয় যাতে পৃথিবী প্রতিনিয়ত অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা পায়। দেবী সৃষ্টিরক্ষায় মাতৃরূপে গৃহে গৃহে অবস্থান করেন। আবার অসুর বধে দেবী মাতংগিনীরূপে সব ধ্বংস করেন। সৃষ্টির রক্ষায় দেবতারা যখন ব্যর্থ, তখন বৈষ্ণব শক্তি শিব শবরূপে (মৃতদেহ) দেবীর আগমনপথে পড়ে রইলেন। মুন্ড-মালিনী উন্মাদিনী তার ডাকিনী-যোগিনী সংগে রণাঙ্গিনী বেশে ছুটে যাচ্ছেন। পায়ের নিচে শবরূপে (মৃত) পতি শিবকে দেখে দেবী লজ্জিত হয়ে জিভে কামড় দেন। যে দেবী রক্তপিপাসায় নিজের মস্তক কেটে ছিন্নমন্ডারূপে রক্তপান করছিলেন সেই দেবলজ্জায় রণে ক্ষান্ত হলেন। লজ্জাই নারীর ভূষণ- এ সত্যই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দু পূরাণমতে- কালী দেবী দুর্গারই একটি শক্তি। মহাভারত অনুসারে, কালী দুর্গার একটি রূপ (মহাভারত, ৪।১৯৫)। এছাড়া মহাভারতে উল্লেখ আছে, যিনি নিহত যোদ্ধা ও পশুদের আত্মাকে বহন করেন, তাঁর নাম কালরাত্রি বা কালী।