রাস্তায় বাস নেই, আছে মানুষ ও ভোগান্তি
তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে ঢাকার রাজপথে কোথাও কোন বাস বা গণপরিবহন দেখা যায়নি।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়া মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়েন।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের ভর্তি পরীক্ষা এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। একারণে এদিন বিপুল সংখ্যক একটি সমাগম হয় ঢাকার রাস্তায়। তবে আজ রাস্তায় বের হয়ে তারা সকলেই চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা এবং প্রায় দুই ডজন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে বেশি সময় ও উচ্চ ভাড়ার মুখোমুখি হতে হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের।
সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রাস্তায় বের হওয়া মানুষের জটলা চোখে পড়েছে। বাস বা কোন গণপরিবহন রাস্তায় না থাকায় এসময় ভাড়া ও অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেল, অটোরিকশা এবং রিকশার ভাড়া বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকগুণ চাওয়া হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেকে বেশি ভাড়া গুণেই পরিবহন সুবিধা নিচ্ছে। অনেকে আবার পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারবে কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
রাস্তায় কোন গণপরিবহন না চললেও বিআরটিসির বাস চলছে। সল্পসংখ্যক এই বাসগুলোতে যাত্রীদের ওঠার প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে বাস ভাড়া ও পণ্যপরিবহনকারী যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধির দাবীতে বৃহস্পতিবার এই ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ট্রাক-কভার্ড ভ্যান ড্রাইভার ইউনিয়ন যৌথভাবে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।
সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার অথবা ভাড়া বাড়ানো না হলে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে বাস এবং পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার জানান, ভাড়া বাড়াতে মালিকদের কাছ থেকে আবেদন পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার বৈঠক ডাকা হয়েছে।