নিরাপত্তা রক্ষীদের দিয়ে সাংবাদিক পেটালেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে এখন ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থান করছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো। তবে সেখানে গিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সেখানে তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্রাজিলের সাংবাদিকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
ব্রাজিলের সাংবাদিকদের সঙ্গে বলসোনারোর সম্পর্ক আগে থেকেই তিক্ত। বলসোনারো আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছেন যে সাংবাদিকেরা তার বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করছেন। তার সঙ্গে সাংবাদিকেরা অন্যায্য আচরণ করছেন। এবার বলসোনারোর বিরুদ্ধে জি-২০ সম্মেলনে নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে ব্রাজিলের সাংবাদিকদের মারধর করানোর অভিযোগ উঠল।
ব্রাজিলের ‘ও গ্লোবো’ পত্রিকা বলছে, গতকাল রোববার জি-২০ সম্মেলনের কোনো অনুষ্ঠানে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট কেন যোগ দেননি, বলসোনারোকে এমন প্রশ্ন করেছিলেন টিভি গ্লোবোর সাংবাদিক লিওনার্দো মন্টেরিও। এ প্রশ্ন করার পরই বলসোনারোর নিরাপত্তারক্ষীরা এই সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন। তারা তার পেটে ঘুষি মারেন। তাকে ধাক্কা মারেন।
ব্রাজিলের আরেক সংবাদমাধ্যম ইউওএলের সাংবাদিক জামিল শাদে এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খল এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে বলসোনারোর নিরাপত্তারক্ষীরা সাংবাদিকদের ধাক্কাধাক্কি করছেন, অন্যদিকে সাংবাদিকদের গালাগালি করছেন বলসোনারোর সমর্থকেরা।
সাংবাদিকদের মারধর-হেনস্তার অভিযোগে অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীরা ব্রাজিলের নাকি ইতালির, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ‘ও গ্লোবো’ পত্রিকার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, একদল ইতালীয় নিরাপত্তারক্ষীকে বলসোনারোর নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনার বিষয়ে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে রয়টার্স।
সাংবাদিকদের মারধর ও বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ছবিতে বলসোনারোর অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে জি-২০ প্রেস টিমও তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেনি।
জি-২০ সম্মেলনের ভিডিও ফুটেজে বলসোনারোকে একা একা থাকতে দেখা গেছে। এমনকি বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ছবি তোলার সময়ও তিনি ছিলেন না।
করোনা মহামারি মোকাবিলা নিয়ে বলসোনারোর অবস্থানের বিরুদ্ধে রোমের সড়কে অনেকে স্লোগান দিয়েছেন। অনেকে তার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
করোনায় সংক্রমিত হয়ে ব্রাজিলে ছয় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশে এত মানুষ করোনায় মারা যাননি।