করোনায় আক্রান্ত ২৪ কোটি ৬৭ লাখ ছাড়িয়েছে
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৭ হাজার ৫৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে দুই শতাধিক। এতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৫০ লাখ ৩ হাজার ৯৩৪ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২৪ কোটি ৬৭ লাখ ২৪ হাজার ৬০১ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে শনিবার সকালের দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৮৯৮ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৫৫৫ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৭০ হাজার ২৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৭২২ জন মারা গেছেন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৬৭ জন এবং মারা গেছেন ১৮৬ জন। মহামারির শুরু থেকে এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৯ লাখ ৭৯ হাজার ২৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৯২ জন মারা গেছেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় মারা গেছেন ১ হাজার ১৬৩ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৮৪৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৪ লাখ ৩২ হাজার ৫৪৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ২২০ জনের।
আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৭৯ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৯৬৫ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৪০১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭ হাজার ৫০৪ জনের।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৫২ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ১৮৯ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার ৭১৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।