ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর জাল করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে
নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর জালের মামলায় দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সোহাগকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার দুপুরে দিনাজপুরের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল হোসেন এ আদেশ দেন।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট দিনাজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর কুমার রায় মারা গেলে তার পদটি শূন্য হয়। ওই বছরের ২০ অক্টোবর পদটিতে উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। উপ-নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন রবিউল ইসলাম সোহাগ।
এরপর তিনি ৭ অক্টোবর বুধবার দিনাজপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করেন যে, তিনি দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক। তাকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ পদে নিযুক্ত করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। সে সময় ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর করা ও সিলযুক্ত একটি কাগজও দেখান সোহাগ। এ সময় তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দাবি করেন।
পরদিন রাতে সোহাগের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী।
মামলায় সাক্ষী হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মেস্তাফিজুর রহমান ফিজার, যুগ্ম সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, দফতর সম্পাদক সেলিম আক্তার চৌধুরী ও স্পেশাল পিপি সামসুর রহমান পারভেজের নাম দেওয়া হয়।
মামলায় রবিউল ইসলাম সোহাগ হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। পরে ২০ অক্টোবর নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
হাইকোর্টের জামিনের সময় শেষ হয়ে যাওয়া রোববার দুপুরে দিনাজপুরের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১ (সদর) এ স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। ওই আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন জানান, ভাইস চেয়ারম্যান সোহাগ আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। বিকেলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।