হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় রক্তদান
চিকিৎসা ডেস্ক :
রক্তদান নিঃসন্দেহে একটি ভালো কাজ। তবে মানুষ রক্ত দিতে ভয় পান। যদিও নিকটস্থ মানুষ বিপদে পড়লে কাছের মানুষই তাকে রক্ত দিয়ে থাকেন। তবে অন্যের বিপদে মানুষ একটু কমই সহযোগিতা করে থাকেন। কারণ রক্তদান নিয়ে অনেকের মধ্যে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে।
তবে জানা জরুরি, তিন মাস পর পর সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে রক্তদান করতে পারেন। রক্তদান স্বাস্থ্যে কোনো ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না। বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। রক্তদানের পদ্ধতি ও পরবর্তী প্রভাব সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অযথা ভীতির কারণে অনেকেই রক্ত দিতে দ্বিধান্বিত হন। কিন্তু রক্তদানের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দেহে রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক রক্তদানের উপকারিতাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত-
বয়সের ছাপ কমায়
যারা নিয়মিত রক্তদান করেন, তাদের শরীরে বয়সের ছাপও কম পড়ে। ত্বক অনেক টানটান থাকে। শরীরে মেদও জমে কম। রক্তে কোলস্টেরলের উপস্থিতি কমাতে সাহায্য করে। হার্ট ও লিভার ভালো থাকে।
ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে
রক্তদানের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ‘বোনম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়, ঘাটতি পূরণ হয়। পরিসংখ্যান বলছে, যারা নিয়মিত রক্তদান করেন, তাদের ফুসফুস, অন্ত্র, গলার ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।
ক্যালোরি ঝরায়
একবার রক্ত দিলে সাধারণত তিন মাসের ভেতরে আর রক্তদান করা যায় না। কিন্তু চার-পাঁচ মাস পরপর যদি কেউ রক্তদান করেন, প্রতিবারই বিনা পরিশ্রমে ঝরিয়ে ফেলতে পারেন ৬৫০ ক্যালোরি। এমনই বলছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষার তথ্যানুযায়ী- যারা নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় পরপর রক্তদান করেন, তাদের হৃদরোগের আশঙ্কা খুবই কম। যারা সারা জীবনে কখনো রক্তদান করেননি, তাদের হৃদযন্ত্রের তুলনায় রক্তদানকারীদের হৃদযন্ত্র অনেক বেশি সুস্থ থাকে।