দেবহাটায় জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে অপপ্রচারের ঘটনায় সাবেক অধ্যক্ষের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি,দেবহাটা:

বিরোধপূর্ন জমিতে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মানে বাঁধা দেয়ায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে অপপ্রচার ও মানহানির ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন দেবহাটা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ একেএম আনিসুজ্জামান কালাম। শনিবার বেলা ১১টায় দেবহাটা প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সাবেক অধ্যক্ষ আনিসুজ্জামান বলেন, আমাদের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১ একর ৩৩ শতক জমি নিয়ে আমি সহ আমার অপর দুই ভাই রহিম ও মোস্তফার মধ্যে দীর্ঘদিন দ্বন্দ চলে আসছিল। কয়েকমাস আগে বিষয়টি নিয়ে সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন উভয় পক্ষের সাথে বসেন। সেসময় বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে ওই জমিতে কোন স্থাপনা নির্মান করতে নিষেধ করেন চেয়ারম্যান রতন।

গত মঙ্গলবার সকালে আকর্ষিক ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মান শুরু করেন আমার ভাতিজা শাঁখরা কোমরপুর এজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতকারী ও দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আহমেদ শরীফ ইকবাল।

একপর্যায়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে আহমেদ শরীফ ইকবাল আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করেন এবং আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ; তাই বাক বিতন্ডতায় না জড়িয়ে তাদের এসব কর্মকান্ড মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে প্রতিকারের আশায় দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পরে দেবহাটা থানার এসআই হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থাপনা নির্মান কাজ বন্ধ রাখার জন্য আহমেদ শরীফ ইকবালকে নির্দেশ দেন। এঘটনার পরদিন বুধবার আহমেদ শরীফ ইকবাল উল্টো থানায় গিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে পুনরায় জোরপূর্বক নির্মান কাজ শুরু করেন। বিষয়টি আমি মুঠোফোনে থানা পুলিশকে অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাইনি। পরবর্তীতে আমি উক্ত নির্মান কাজে বাঁধা প্রদান করছি মর্মে শুক্রবার সাতক্ষীরার একটি পত্রিকায় উল্টো আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটিতে আমাকে দূর্নীতিবাজ আখ্যা দেয়া সহ আমার বিরুদ্ধে কলেজের অর্থ আত্মসাতের যে অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং কেবলমাত্র বিরোধপূর্ণ জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মানের জন্য উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমি প্রকাশিত ওই সংবাদের সত্যতার বিষয়ে পত্রিকাটির সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের কাছে জানতে চাইলে আমার বিরুদ্ধে তিনি কোন নিউজ করেননি উল্লেখ করে বলেন, আমি পত্রিকায় প্রকাশিত উক্ত নিউজের ব্যাপারে কোন কিছুই জানিনা। আপনার সাথে শত্রুতার জের ধরে দেবহাটা সদরের এক চিহ্নিত দালাল, বাটপার ও বহু বিবাহের নায়ক আমার অগোচরে আমার নাম, পদবী ও নকল ইমেইল ব্যবহার করে ওই সংবাদটি পত্রিকার ইমেইলে প্রেরণ করেছে বলে তিনি পত্রিকা অফিসে খোজ নিয়ে জানতে পেরেছেন বলে আমাকে জানান।

অধ্যক্ষ আনিসুজ্জামান আরোও বলেন, অপপ্রচার ও পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আমার মানহানি করা হয়েছে, সেব্যাপারে আমি আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করবো। পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের বিরোধপূর্ন পৈত্রিক জমিতে জোরপূর্বক চলমান স্থাপনা নির্মানের কাজ বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করেন তিনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)