শেষ ওভারে দিল্লিকে হারিয়ে ফাইনালে সাকিবের কলকাতা
ভেঙ্কাটেশ আইয়ারের অর্ধশতকে ভর করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটাসকে তিন উইকেটে হারিয়ে আইপিএল ২০২১-এর ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে সাকিব আল হাসানের কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। আজ ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও সাকিব চার ওভার বল করে দেন মাত্র ২৮ রান।
দিল্লির দেয়া ১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার ভেঙ্কাটেশ আইয়ার ও শুভমান গিল কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে ১২.২ ওভারেই ৯৬ রান তোলেন এই দুই ব্যাটার। কাগিসো রাবাদার শিকার হওয়ার আগে ভেঙ্কাটেশ আইয়ার দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ বলে করেন ৫৫ রান। তার এই ইনিংস সাজানো ছিল ৩টি ছয় ও ৪টি চারে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ বলে ৪৬ রান করেন শুভমান গিল।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শুবমান গিল ও নিতিশ রানা করেন ২৭ রান। অ্যানরিখ নরকিয়ার বলে আউট হওয়ার আগে নিতিশ রানা করেন ১২ বলে ১৩ রান। কলকাতার রান তখন ১৬ ওভার শেষে ১২৩ রান।
মনে হচ্ছিল সহজেই জয় পেতে যাচ্ছে কেকেআর। কিন্তু ১২৬ রানের মাথায় দিনেশ কার্তিকের উইকেট হারালে কিছুটা চাপে পড়ে নাইটরা। এরপর অধিনায়ক মরগানও ১৯তম ওভারের শেষ বলে তিন বল খেলে কোনো রান না করে ফিরে গেলে ফের চাপে পড়ে কেকেআর।
আগের ম্যাচে চাপের মুখে ব্যাট হাতে ভালো করায় এদিন সাকিবকে নারীনের আগে ব্যাট করতে পাঠায় কেকেআর। শেষ ওভারের জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ৭ রান। ত্রিপাথি রবি চন্দন অশ্বিনের প্রথম বলে এক রান নিলে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান সাকিব। কিন্তু আজ যেন চাপের কাছে হেরে যান বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। দুই বল খেলে কোনো রান না করেই এলবিডব্লিউ হন সাকিব। পরের বলে সুনীল নারাইনও অশ্বিনকে তুলে মারতে গিয়ে আউট হলে চাপে পড়ে কেকেআর। শেষ দুই বলে তাদের প্রয়োজন ছিল ৬ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে চাপ সামলে অশ্বিনকে ছয় মেরে জয় নিশ্চিত করেন ত্রিপাথি (১১ বলে ১২ রান)।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই সাকিবের মুখোমুখি হয় দিল্লি। সাকিবের করা প্রথম ওভারে দিল্লি সংগ্রহ করে মাত্র ১ রান। যদিও পরের দুই ওভারে খরুচে ছিলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার, খরচ করেন ২৩ রান। শেষ পর্যন্ত সাকিব ৪ ওভারে ২৮ রান দেন। উইকেটের দেখা পাননি সাকিব।
দিল্লির পক্ষে ৩৯ বলে ৩৬ রান করেন ধাওয়ান, হাঁকিয়েছেন একটি চার ও দুটি ছক্কা। এছাড়া শ্রেয়াস আইয়ার ২৭ বলে অপরাজিত ৩০, পৃথ্বী শো ১২ বলে ১৮, মার্কাস স্টয়নিস ২৩ বলে ১৮ রান করেন।
কলকাতার পক্ষে এদিন সাকিবের মতো উইকেটশূন্য ছিলেন সুনীল নারাইনও। ৪ ওভার বল করে তিনি খরচ করেন ২৭ রান। দলের পক্ষে বরুণ চক্রবর্তী দুটি এবং লকি ফার্গুসন ও শিভম মাভি একটি করে উইকেট শিকার করেন।
ফাইনালে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে লড়বে সাকিবদের কলকাতা।