পাটকেলঘাটায় ধর্মের দোহাই দিয়ে মন্দিরের সরকারী সম্পত্তি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় ধর্মের দোহাই দিয়ে মন্দিরের নামের সরকারী এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পত্তি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ঝড়াগাছা গ্রামের মৃত হরিপদ ঘোষের ছেলে পরিমল কান্তি ঘোষ।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, পাটকেলঘাটার ধানদিয়া ইউনিয়নের নলকুড়া বাজারে ৫৮০ নং খতিয়ানে ১২২১, ১২২২ ও ১২২৩ দাগে আমার জেঠা স্বর্গীয় মনিন্দ্র নাথ ঘোষ উক্ত সম্পত্তির মালিক ছিলেন। তিনি তার নিজস্ব সম্পত্তিতে বাংলাদেশ স্বধীনের আগে অত্র এলাকার মানুষের সুবিধার্থে সেখানে বাজার স্থাপন করেন। পরবর্তীতে তিনি ওই সম্পত্তি বাজারের নামে দান করেন। ষেকান থেকে দীর্ঘকাল যাবত সেখানে বাজার বসে।
অত্র এলাকার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সেখানে খোলা মাঠে বসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় বিক্রয় করতেন। উক্ত সম্পত্তির পাশে আমার জেঠাতো ভাইয়ের নিজ নামীয় রেকর্ডীয় সম্পত্তিও রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি একই এলাকার সাবেক ইউপি মেম্বর বিশ^জিত ঘোষ, দিপংকর সুর, মোনজ ঘোষ, সঞ্জয় ঘোষ, কৃষ্ণপদ ঘোষ ও বিষ্ণুপদ ঘোষ উক্ত বাজারের সম্পত্তি দখলের চক্রান্ত শুরু করে। অথচ উক্ত সম্পত্তি বর্তমান মালিক সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক। এছাড়া এই সম্পত্তির পাশে আমার জেঠাতো ভাইয়ের সম্পত্তিও তারা একই সাথে দখলের উদ্দেশ্যে পাকাস্থাপনা নির্মান শুরু করেন। আর তাদের এই অবৈধ দখলকে বৈধ করার জন্য সেখানে একটি মন্দিরের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ধর্মীয় অনুভুতিকে কাজে লাগিয়েছেন এই চক্রের হোতা বিশ^জিত ও দিপংকর। সরকারী কর্মকর্তারা যাতে তাদের দখল উৎসবে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সে কারনে তারা সরকারী ছুটির দিন শুক্রবার তড়িঘড়ি করে তালা উপজেলাসহ বিভিন্নস্থানের ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনী নিয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের নির্মান কাজ বন্ধ রাখার জন্য বললেও তারা নির্মান কাজ চালিয়ে গেলে পরে সেখানে পুলিশ ও ভুমিকর্মকর্তা গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু তারপরও উল্লিখিত ব্যক্তিরা রাতের আধারে সেখানে ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে গোপনে স্থাপনা নির্মান পূর্বক দখল করতে পারে বলে আমরা আশংকা করছি। তিনি বলেন, এই বিশ^জিত গং ইতিপূর্বে স্থানীয় কুঞ্জ বিহারী ঘোষের দোকানঘর ভেঙে সেখানে তুলশীপীড়া বানিয়েছেন। এছাড়া অত্র এলাকার অসহায় নিরীহ মানুষের সম্পত্তি মন্দির ও থানের নামে অবৈধভাবে তা দখল করে মহাউৎসব চালিয়ে যাচ্ছেন এই চক্রটি। তিনি আরো বলেন, উক্ত বাজারটি দখল হয়ে গেলে অত্র এলাকার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পড়বেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় এই চক্রের হাত থেকে মন্দিরের নামে সরকারী এবং ব্যক্তি রেকর্ডীয় সম্পত্তি রক্ষার জন্য সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।