জাতীয় জাদুঘরের কর্মচারী নূর ইসলাম এর বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের মামলা
জহর হাসান সাগর
নারী নির্যাতন ও যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে তাড়িয়ে দেওয়ার কারনে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোছাঃ মর্জিনা আক্তার বাদী হয়ে নূর ইসলাম সহ তিন জনকে আসামী করে মামলা দাখিল করেছে।
মামলার বাদী মর্জিনা আক্তার সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার জাতপুর গ্রামের মোঃ ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস এর কন্যা।
রবিবার (৩রা অক্টোবর) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নিরাপত্তা প্রহরী, মোঃ নূর ইসলাম ও তার সহযোগী আরো দুই জনকে আসামি করে তার স্ত্রী মর্জিনা আক্তার বাদী হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারার অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলা দাখিল করেন। মামলাটি শুনানি করেন বিজ্ঞ আমলী ৩ নং বিচারক জনাব রাকিবুল হাসান। মামলার আসামি হলেন কয়রা উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামের মোসলেম সরদারের পুত্র মোঃ নূর ইসলাম, ইউনুস আলী ও মেয়ে ঝর্না বেগম।
মামলার বিবারনে জানা যায় মোঃ নূর ইসলাম তার স্ত্রী মর্জিনা আক্তার কে বিভিন্ন সময় ২লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে মারপিট করেন। এরই সাথে তার বোন ও বড় ভাই ২ – ৩ নং আসামি প্রকাশ্যে যৌতুক দাবিতে সহয়তা করেন। গত ১৪ ই সেপ্টেম্বর মর্জিনা আক্তার কে ২ লক্ষ টাকার যৌতুক দাবী করে পিত্রালয় থেকে এনে দেওয়ার কথা বলেন। মর্জিনা আক্তার কোনপ্রকার যৌতুক এনে দিতে পারবেন জানাইলে মামলার ১ নং আসামি মর্জিনা আক্তার কে মারপিট করতে শুরু করেন।২-৩ নং আসামীরাও মর্জিনা আক্তার কে যৌতুক না আনলে হবেনা এবং তারাও চড় কিল ঘুষি মেরে তাড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে ১৭ ই সেপ্টেম্বর পক্ষদ্বয়ের মধ্যে বসাবসি হলে। সেখানে নূর ইসলাম সহ সকলে কোন প্রকার যৌতুক ছাড়া মর্জিনা আক্তার কে নিয়ে সংসার করিবেন না বলে জানান। মর্জিনা আক্তার সাড়ে তিন বছরের একটি পুত্র সন্তান নিয়ে পিত্রালয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে মর্জিনা আক্তার জানান তিনি তার পুত্র সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে অনাহারে অর্ধাহারে দিন পার করছেন। তার স্বামী সরকারি চাকুরী করলেও সে একটি যৌতুক লোভী।তাকে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে মারপিট করেন এবং তিনি সেই অভিযোগ এনে মামলা করেছে। তিনি সঠিক বিচার চান এবং সকল আসামিদের সাজা দাবি করেন।
Please follow and like us: