শ্যামনগরের খোলপাটুয়া -কপোতক্ষ থেকে রাতের আঁধারে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন
আশিকুজ্জামান লিমনঃ
শ্যামনগর উপজেলার খোলপাটুয়া -কপোতক্ষ নদী থেকে কোন প্রকার ইজারা ছাড়াই রাতের আধাঁরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র।
সরকার ঘোষিত পরিবেশ সংকটাপন্ন এসব এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বড় ধরনের হুমকির মূখে পড়েছে উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন
তান্ডব চললেও এ ব্যাপারে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ। প্রশাসনের নিরব ভূমিকার কারনে সঙ্গবদ্ধ চক্র নদীর কয়েকটি স্থানে সুবিধামত দিনে ও রাতে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
বোট মাঝি ও সহযোগীরা হলেন গাবুরার আজগর (ইষ্টিল বডি),৯ শত ফুট ধারণ ক্ষমতা ও ৫ শত ফুট কাঠের বডি বালি বহনকারী হবিয়ার রহমান,নুর আলম, জাফর, মাজেদ, মহাসিন, সাইফুল ও নওয়াবেকি বোট মাঝি আব্দুর রহিম, রবিউল, মজিদ, আনারুল।
রিয়াসাত নেতৃত্বে বালি উত্তোলন করছে বলে জানা যায়। মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাবুরা (ভূমি) তফসিল অফিসের কর্মকর্তা (বাবু) নন্দলাল ও বুড়িগোয়ালিনী নৌ থানার ওসি শরিফুল ইসলাম কে ম্যানেজ করে এই বালু উত্তোলন করছি।
বুড়িগোয়ালিনী নৌ থানার ইনচার্জ খাঁন শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর নদীতে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে।খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলনের অভিযোগ আমিও পেয়েছি। এছাড়া, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের আর্থিক জরিমানা করা হইবে। এর আগেও অবৈধ বালু উত্তোলন করা কার্গো সহ বিভিন্ন বোর্ড জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে এ বিষয়ে প্রচুর অভিযান পরিচালনা করছি। অনেক মামলাও হয়েছে। জানতে পারলাম রাতের আধারে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
Please follow and like us: