থানায় চুরি হওয়া গরু আনতে গিয়ে অবাক বাবা, চোর নিজেরই ছেলে

নিউজ ডেস্কঃ

মধ্যরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় সেলিম মিয়ার। বাইর হতেই দেখেন গোয়াল ঘরের দরজা খোলা। ভেতরে গরুটিও নেই। দিশেহারা হয়ে খুঁজতে থাকেন রাতভর। একপর্যায়ে জানতে পারেন গরুটি পিকআপ ভ্যানে নিয়ে কয়েকজন চোর পালিয়ে যাচ্ছে। তিনিও পিকআপের পিছু নেন। খবর দেন পুলিশকেও। এরপর গরুটিসহ চোর এবং তার সহযোগীদের আটক করে পুলিশ। পরে থানায় গরু আনতে গিয়ে দেখেন চোর নিজেরই ছেলে সোহাগ মিয়া।

শনিবার রাত দেড়টার দিকে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের গ্রামপুলিশ সেলিম মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন- সেলিম মিয়ার ছেলে ২৮ বছর বয়সী ছেলে সোহাগ মিয়া, তার সহযোগী মিলন মিয়া, পিকআপচালক ইসলাম উদ্দিন ও তার সহকারী আব্দুল্লাহ। আটকদের বিরুদ্ধে মামলার পর রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সেলিম মিয়া জানান, গরুটির আনুমানিক বাজার মূল্য ৮০ হাজার টাকার মতো হবে। শনিবার রাত দেড়টার দিকে গোয়াল ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান তিনি। ঘরে গিয়ে দেখেন গরুটি নেই। পরে গরুটি খোঁজাখুঁজি শুরু করলে একপর্যায়ে জানতে পারেন কয়েকজন চোর গরুটি পিকআপ ভ্যানে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তিনি ওই পিকআপ ভ্যানটির পিছু নেন এবং পুলিশকে খবর দেন। ভোররাতেই পার্শ্ববর্তী আটপাড়া থানার পুলিশ উপজেলার দুর্গাশ্রম চৌরাস্তা মোড় এলাকায় গরুভর্তি পিকআপসহ চারজনকে আটক করে। পরে রোববার দুপুরে কেন্দুয়া থানা পুলিশের কাছে আটকদের হস্তান্তর করা হয়। ততক্ষণেও সেলিম মিয়া জানতে পারেননি আটক গরু চোর তার ছেলে ও সহযোগীরা।

সেলিম মিয়া বলেন, শনিবার দুপুরে সোহাগ ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে জানতে পারলাম আমার ছেলেই এ চুরি করেছে। লজ্জায় এখন এলাকায় মুখ দেখাতে পারছি না। ছেলে আমার মান-সম্মান সব শেষ করে দিয়েছে।

কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)