দেবহাটায় সরকারী জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বিষয়ক কর্মশালা
দেবহাটা প্রতিনিধি:
দেবহাটায় সরকারী জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০০৯ সমস্যা, সম্ভাবনা ও মৎস্য জীবীদের পক্ষে সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দেবহাটা প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় ও উত্তরণ-অপ্রতিরোধ্য প্রকল্পের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মশালায় উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা সরদার আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট মুনির উদ্দীন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব লিটু, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, ভুমি কমিটির সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি অধ্যাপক রাজু আহম্মেদ ও আবু হুরাইরা, যুগ্ম-সম্পাদক নির্মল কুমার মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর খায়রুল আলম, সদস্য মিজানুর রহমান, লিটন ঘোষ বাপ্পি প্রমুখ।
উত্তরণ দেবহাটা কেন্দ্রের শাখা ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলামের সঞ্চলনায় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক কবির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আরিফ, সাহিত্য ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোসেন লিটন, কার্যনির্বাহী সদস্য এম.এ মামুন, এস.এম নাসিরউদ্দীন, সদস্য দিপঙ্কর বিশ্বাস, রুহুল আমিন, সুজন ঘোষ, ফরহাদ হোসেন সবুজ, সহযোগী সদস্য সজল রহমান, মনিরুজ্জামান মনি, উত্তম কুমারসহ অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মী, উত্তরণের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর শিরিনা আক্তার, ভলেন্টিয়ার মাসুম কবির প্রমুখ।
সভায় বক্তৃতাকালে বক্তারা বলেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ জলমহাল ভূমিদস্যু ও বংশ পরম্পরায় একই জৎস্যজীবি সমিতির ব্যানারে যুগ যুগ ধরে ভোগদখল চলে আসায় দারিদ্র শ্রেনীর বহু প্রকৃত মৎস্যজীবিরা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে করে দেশের মৎস্য সেক্টর সংশ্লিস্ট অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেজন্য দেশের প্রাকৃতিক মৎস্য ক্ষেত্রে গুলো সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন তারা। তাই সরকারি জলমহাল থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে তার প্রকৃত মৎস্যজীবিদের অনূকূলে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান বক্তারা। এসময় দেবহাটার খলিশাখালি নামীয় সহ¯্রাধিক বিঘা জমি সদ্য দখলে নেয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি সরদার আমজাদ হোসেন বলেন, যেখানে সরকারি খাস জমি এবং প্রকৃত ভূমিহীন রয়েছে সেখানে উত্তরণ বা ভূমি কমিটি সহযোগীতা প্রদান করে। কিন্তু খলিশাখালির জমির মালিকানার স্বপক্ষে বহু ব্যাক্তিদের এসএ রেকর্ড থেকে শুরু করে প্রিন্ট পর্চায় গেজেটভুক্ত কাগজপত্র রয়েছে মর্মে আমরা ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছি। সুতরাং এ অবস্থাতে কোন বেআইনী কাজে আমরা সহায়তা দেবোনা। তবে যদি পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খলিশাখালির জমি সরকারের খাস খতিয়ানে অর্ন্তভূক্ত করা হয় সেসময়ে আমরা সেখানে অবস্থানরত ভূমিহীনদের সহায়তা প্রদান করবো।