এমপি রবির ছোয়ায় শত উন্নয়নে আজ আলোকিত সাতক্ষীরা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ:

একটি সুন্দর সাতক্ষীরা তৈরীর স্বপ্ন নিয়ে মা, মাটি ও মানুষকে ভালবেসে সাতক্ষীরাবাসীর চাওয়া পাওয়া পুরণের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে বাঙালী জাতির পিতা মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাদার অব হিউম্যানিটি জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে জামাত অধ্যুষিত সাতক্ষীরা-২ আসনে নৌকার মাঝি হয়েছিলেন সবার প্রিয় ব্যক্তিত্ব সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সরকারি কলেজের প্রথম নির্বাচিত ভিপি, রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী সৈনিক, ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুজিবকন্যা মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও আদর্শ্যের আদর্শিত ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সেই নির্বাচনে নিজ দলের অধিকাংশ নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অমান্য করে বঙ্গবন্ধুর নৌকার বিরোধীতা করেছিল। সকল বাঁধা উপেক্ষা করে গণমানুষের প্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সাতক্ষীরাবাসীর দোয়া ও ভালবাসায় বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। নির্বাচনে জয়লাভের পরপরই কে ভোট দিয়েছে বা কে দেয়নি, কারা বিরোধীতা করেছে সেদিকে না তাকিয়ে সকলকে সাথে নিয়ে অবহেলিত ও দীর্ঘদিন উন্নয়ন বঞ্চিত সাতক্ষীরার সার্বিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন এবং শুরু করেন সাতক্ষীরার উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম। ২০০৬ সাল পর্যন্ত জামাত এই আসনটি দখল করে রেখেছিল। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকে আব্দুল জব্বার এমপি নির্বাচিত হন। কিন্তু সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়া পুরন হয়নি। উন্নয়নে পিছিয়ে পড়েছিল সাতক্ষীরা।

অবহেলিত এই জনপদে ছিলনা কোন উন্নত মানের রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার বহুতল ভবন, ব্রিজ-কালভাটর্, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিলনা কোন বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা। মহান আল্লাহর রহমতে সদর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সদর আসনে ২০১৮ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবিকে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও দলীয় মনোনয়ন দেন। উল্লেখ্য যে, এতদাঞ্চলের মধ্যে একমাত্র সাতক্ষীরা সদর নির্বাচনী আসনে ১২ জন দলীয় প্রার্থী হওয়ার আবেদন করেছিলেন। এর পরও জননেত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে দলীয় মনোনয়ন ও দলীয় প্রতিক নৌকা দিয়েছিলেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সদর উপজেলার সুকদেবপুর, যুগিপোতা, ভাটপাড়াসহ যে সব এলাকায় রাস্তা, বিদ্যুৎ ও ব্রিজ ছিলনা সে সব এলাকা আজ এমপি রবির প্রচেষ্টায় সার্বিকভাবে উন্নত হয়ে আলোকিত সদর উপজেলা। জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার গ্রাম হবে শহর। উন্নয়নের জোয়ারে আজ গ্রাম এলাকা শহরের রুপ নিতে চলেছে। আজ শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত সাতক্ষীরা সদর উপজেলা। সার্বিক উন্নয়নের আধুনিকতা বলতে যা বোঝায় সাতক্ষীরা সদরে সবকিছুই এমপি রবির ছোয়ায় দৃশ্যমান।

জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি যশোরের শার্শার নাভারন থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প দীর্ঘদিন বন্ধ হয়েছিল। সাতক্ষীরাবাসীর স্বার্থে এমপি রবি মহান জাতীয় সংসদে বারবার জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নের জন্য রেল লাইন নির্মাণের দাবী জানান। এরপরও থেমে থাকেনি এমপি রবি। জার্মান রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে তিনি রেললাইন নির্মাণে জার্মাণ সরকারকে অর্থ সহায়তার আহবান জানান। বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির আহবানে সাড়া দিয়ে সাতক্ষীরার রেললাইন নির্মাণে সহযোগিতা করার প্রত্যয় নিয়ে রেল ভবনে রেল মন্ত্রী, জার্মান রাষ্ট্রদূত ও এমপি রবিসহ সংশ্লিট কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসেন। এমপি রবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় ২২ লক্ষ মানুষের চাওয়া পাওয়া বাস্তবে রুপ নিতে যাচ্ছে। ১৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে যশোর-সাতক্ষীরা রেলপথ। নাভারন থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ৯৮ দশমিক ৪২ কিলোমিটার। এটি একটি বড় প্রকল্প। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ধরা হয়েছে চলতি সময় থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অর্থনৈতিকভাবে আরো বেশি শক্তিশালী হবে সাতক্ষীরা। এছাড়াও এমপি রবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শর্য্যা এবং সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ১০০ শর্য্যা থেকে ২৫০ শর্য্যায় উন্নীতকরণের অনুমোদন লাভ করেছে। এমপি রবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার উন্নয়নে জার্মান সরকারের কেএফ ডবøু প্রকল্প খুব শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্পের কাজ হলে সাতক্ষীরা পৌর এলাকার চেহারায় পাল্টে যাবে। সাতক্ষীরাবাসীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী ও খাল খননে এমপি রবির প্রচেষ্টায় একনেকের বিশেষ সভায় ৪৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও এমপি রবি সাতক্ষীরা সদর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশন করার চিন্তা-ভাবনা নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সাতক্ষীরায় একটি বিশ^বিদ্যালয় করা, ইকোনোমিক জোন স্থাপন করে শিল্প কলকারখানা তৈরী, নতুন বিদ্যুৎ প্লাান তৈরী, বিনেরপোতা হয়ে আশাশুনি নতুন বাইপাস সড়ক নির্মাণ, সুন্দরবন টে´টাইল মিলসকে আধুনিকায়ন করে পূণরায় চালু করা, ভোমরা স্থলবন্দরকে আরো গতিশীল করাসহ বন্দরকে আধুনিকায়ন ও আমদানী-রপ্তানী মুখি বন্দর করা। সুন্দরবন এলাকায় ট্যুরিজম তৈরী করাসহ আধুনিক ও উন্নত সাতক্ষীরা গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এমপি রবি। এমপি রবি এমনই একজন ব্যক্তিত্ব যিনি প্রত্যেহ সকালে ঘুম থেকে উঠে মহান আল্লাহ ও রাসূল কে স্মরন করে হাসি মুখে বেরিয়ে যান অসহায় মানুষের সেবা ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও দলীয় এবং সাংগঠনিক কর্মকান্ডে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ০৯টি ওয়ার্ড এবং গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরেছেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে রাজনীতির নিরলস দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন জননন্দিত গণমানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)