চিঠি লিখে বিশ্বজয় করলো বাংলাদেশি মেয়ে নুবায়শা
নিউজ ডেস্ক:
চিঠি লিখে বিশ্বজয় করেছে বাংলাদেশের সিলেটের মেয়ে নুবায়শা ইসলাম। বিশ্ব ডাক সংস্থার (ইউপিইউ) ৫০তম চিঠি লেখা প্রতিযোগিতায় লাখের বেশি কিশোর-কিশোরীকে হারিয়ে সে শ্রেষ্ঠত্বের ‘মুকুট’ জিতে নিয়েছে।
‘কোভিড-১৯’ বিষয়ক পত্র লেখার এ প্রতিযোগিতায় নুবায়শা তার অনাগত বোনকে নিয়ে লিখে। চিঠিতে করোনাকালে মৃত্যুভয়, স্বজন হারানোর ভয়ের বিষয় উঠে আসে। একই সঙ্গে একটি ভালো সময়ের জন্য প্রচণ্ড আশাবাদও ব্যক্ত করে নুবায়শা।
গত ২৭ আগস্ট সুইজারল্যান্ডে সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রতিযোগিতার ফল ঘোষণা করা হয়। ফল প্রকাশের পর বিশ্ব ডাক সংস্থা নুবায়শাকে নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি তৈরি করে প্রতিষ্ঠানের ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। নুবায়শা সুইজারল্যান্ডে গিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করবে।
নুবায়শার পরিবার সিলেট নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহ এলাকায় বাস করে। তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মগড় ইউপির আমবাড়িয়া গ্রামে।
নুবায়শা বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেটের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং সিলেট গ্রামার স্কুলের শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার দম্পতির মেয়ে। সে ৮ম শ্রেণিতে পড়ে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়ের এ অর্জন আমাদের পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে। তার চিঠির ভাষা ছিল আসাধারণ। যে কেউ ওই চিঠি পড়লে মন শীতল হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, তার অনাগত বোনকে নিয়ে ৮০০ শব্দের আবেগঘন ওই চিঠি লিখেছে। চিঠিতে করোনাকালে মৃত্যুভয়, স্বজন হারানোর ভয়ের কথা ফুটে উঠেছে। একই সঙ্গে ভালো সময়ের প্রত্যাশার কথাও তুলে ধরা হয়।