শ্যামনগরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী খলিলের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণে মিলেছে প্রমান
আশিকুজ্জামান লিমনঃ
বিকাশের মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সহকারী খলিলুর রহমান। ঘুষের টাকা বদহজম হয়েছে তার। এখন সেই ঘুষের টাকা উগরে দিয়েও রেহাই মিলছে না। দিয়েছেন মুচলেকা তারপরও চলছে তদন্ত। নেওয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এমনটি জানালেন সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন।
অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সহকারি খলিলুর রহমান সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিস্নমান সহকারি কাম কম্পিউটার তৌহিদুর রহমানের উচ্চতর স্কেলের ফাইল জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে মোবাইলের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করেন। ঘুষ চাওয়া ও গ্রহণের বিষয়টি মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা হয়। এছাড়া ঘুষের জন্য দরকষাকষির বিষযটিও ওই মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা হয়। এরপর তৌহিদুর রহমান জেলা শিক্ষা অফিসে ঘুষ গ্রহণকারী খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেন।
অভিয়োগের সত্যতা পেয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন গত ২৯ আগস্ট তিন দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে নোটিশ দেন। এরপর থেকে শুরু হয় দৌড়ঝাপ। স্থানীয় কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে তৌহিদুর রহমানকে ম্যানেজ করে গত পহেলা সেপ্টম্বরের জেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য নিয়ে যায়। জেলা শিক্ষা অফিসে লিখিতভাবে ঘুষ নেওয়ার বিষয় স্বীকারক্তি দেয় খলিলুর। পরবর্তীতে এ ধরণের কাজ করবে না বলে ক্ষমাও চায় সে।
এবিষয় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘুষ নেওয়ার বিষয় স্বীকারক্তি দিয়েছে খলিল। যথা সময় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।