ওল্ড ট্রাফোর্ডে রোনালদোর দাপুটে প্রত্যাবর্তন
ওল্ড ট্রাফোর্ডে দেখা মিলেছে সেই চিরচেনা ক্রিশ্চিয়ানো রোনলাদোর। ঘরে ফিরেই দাপুটে পারফরমেন্সে দলকে জিতিয়েছেন সিআর সেভেন। আর তাই ওল্ড ট্রাফোর্ডে রোনালদোর সেই পুরনো স্মৃতি ফিরে ফিরে আসছে। রেড ডেভিলদের স্বপ্ন চওড়া হচ্ছে আরো। রোনালদোর একালের সাথে একটু সেকালটাও তাই স্মরণ করা যেতেই পারে।
এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। কাণ্ডটা এবার রোমান জেনারেল জুলিয়াস সিজার নয়, ঘটিয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। গেল রাতেই প্রিমিয়ার লিগে শুরু হয়েছে তার নয়া অধ্যায়। ইপিএল নামের কবিতার খাতাটা নতুন করে খুলে বসেছেন মহাকবি সিআর সেভেন। প্রথম দিনেই নতুন দুটো কাব্যও জুড়ে দিয়েছেন তার সাথে, ওর জোড়া গোলে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডকে ৪-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে বাহবা দিতেও ভোলেননি এই লাল জার্সিতে তার সাবেক গুরু স্যার অ্যালেক্স ফারগুসন।
ইপিএলে পাক্কা ১২ বছর ১২৪ দিন পর গোল করেছেন সিআর সেভেন। ম্যানইউর জার্সিতে শেষ গোলটা ২০০৯ সালে। ইপিএলে দুই গোলের মধ্যে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সময়ের ব্যবধান। এই হিসেবে শীর্ষে আছেন সাবেক এভারটন প্লেয়ার ম্যাট জ্যাকসন।
এর আগে রোনালদো সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগ খেলেছিলেন ২০০৮-০৯ মৌসুমে। সেবার ম্যানইউর হয়ে ৩৩ ম্যাচে ১৮ গোল করেন পর্তুগালের নাম্বার সেভেন। তার আগের সিজনে একটা ম্যাচ বেশি খেলেছেন, তবে সেবার অনেক রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছেন, ৩১ গোল কোরে বাগিয়েছিলেন গোল্ডেন বুটটাও। প্রিমিয়ার লিগে এক সিজনে সর্বোচ্চ ৩২ গোল লিভারপুল ফরোয়ার্ড মো সালার।
রেড ডেভিলস জার্সিতে প্রথম স্পেলে রোনালদো মোট ২৯২ ম্যাচে ১১৮ গোল করেন। আগের সেশনের প্রিমিয়ার লিগ যাত্রায় ১৯৬ ম্যাচ থেকে ৮৪ গোল করেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
ইপিএল ক্লাবগুলোর মধ্যে রোনালদোর সবচেয়ে প্রিয় সম্ভবত টটেনহ্যাম হটস্পার। গোলের পরিসংখ্যান অন্তত তাই বলে। স্পার্সের বিপক্ষে ১৮ ম্যাচে ১০ গোল তার। তালিকায় তার পরেই অ্যাস্টন ভিলা, ১৪ ম্যাচে ৯ গোল। নিউক্যাসেল ইউনাইটেড তিনে উঠে এসেছে, ইপিএলে রোনালদোর দ্বিতীয় অভিষেকের রাতেই। এই ক্লাবটার বিপক্ষে এখন আট গোল তার।
সামনে অপেক্ষায় আরো অনেক রেকর্ডের হাতছানি। ৩৬ বছরের রোনালদো বুড়িয়ে গিয়ে ফুরিয়ে যাবেন, নাকি গুড়িয়ে দেবেন সব, সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে সময়ই।