ভারতে নারী নির্যাতন বেড়েছে ৪৬ শতাংশ, শীর্ষে উত্তর প্রদেশ
চলতি বছর ভারতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪৬ শতাংশ। এ পরিসংখ্যানে সবার ওপরে রয়েছে উত্তর প্রদেশ। দ্বিতীয় দেশটির রাজধানী দিল্লি। সম্প্রতি ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশন (এনসিডব্লিউ) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এসব তথ্য। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
এনসিডব্লিউ’র পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত তাদের কাছে নারী নির্যাতন সম্পর্কিত মোট ১৯ হাজার ৯৫৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। গত বছর একই সময়ে এ ধরনের অভিযোগ এসেছিল ১৩ হাজার ৭১৮টি।
চলতি বছর শুধু জুলাই মাসেই ভারতজুড়ে নারী নির্যাতনের ৩ হাজার ২৪৮টি অভিযোগ পেয়েছে এনসিডব্লিউ। ২০১৫ সালের জুনের পর থেকে এক মাসে আর কখনোই এত বেশি নারী নির্যাতনের অভিযোগ পায়নি তারা।
ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশন জানিয়েছে, চলতি বছর সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশে। সেখানে মাত্র আট মাসে নারীদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ জমা পড়েছে ১০ হাজার ৮৪টি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। ভারতীয় রাজধানীতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে ২ হাজার ১৪৭টি। এছাড়া হরিয়ানায় অভিযোগের সংখ্যা ৯৯৫ এবং মহারাষ্ট্রে ৯৭৪টি।
চলতি বছর ভারতজুড়ে নারী নির্যাতনের যত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার অর্ধেকের বেশিই উত্তর প্রদেশের। এগুলোর বেশিরভাগই নারীদের সম্মানহানি, ঘরোয়া অশান্তি ও যৌতুকের দাবিতে বিবাহিত নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা। এছাড়া, নারীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ এসেছে ১ হাজার ১১৬টি, ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ১ হাজার ২২টি এবং সাইবার অপরাধের অভিযোগ ৫৮৫টি।
অবশ্য এনসিডব্লিউর চেয়ারপারসন রেখা শর্মা মনে করছেন, ভারতে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা বাড়ার অন্যতম কারণ, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়া। এখন নারীরা নির্যাতনের ঘটনা চেপে না রেখে অভিযোগ জানাতে আসছেন।
তিনি আরও বলেন, গত বছর জানুয়ারি থেকে আগস্টের তুলনায় চলতি বছর এই আট মাসে দেশজুড়ে নারীদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ ৬৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে নিয়মিত সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে জাতীয় মহিলা কমিশন।