শ্যামনগরে মসজিদসহ করবস্থান ক্ষতিগ্রস্থ করার অভিযোগঃ২৪ মুসল্লীর নামে মিথ্যা মামলা 

ডেস্ক রিপোর্টঃ
শ্যামনগরে মৎস্য প্রকল্পের গেট দিয়ে পানি প্রবেশে মসজিদ সহ করবস্থান ক্ষতিগ্রস্থ করার অভিযোগ, প্রতিবাদে ২৪ মুসল্লীর নামে মামলা। ঘটনাসূত্রে জানাগেছে যে, কালিঞ্চি গ্রামে একতা ফিস নামীয় চিংড়ী ঘেরীর মালিক ভেটখালী গ্রামের নুর আলমের ছেলে সাহাবুদ্দীন আহমদে (বাবু) দীর্ঘদিন ধরে মৎস্যঘেরী পরিচালনা করে আসছে। মৎস্যচাষে লোনাপানির প্রয়োজনে কালিঞ্চী উত্তরপাড়া জামে মসজিদের পাশ দিয়ে ড্রেনের মাধ্যমে উপজেলা থেকে মৎস্য প্রকল্পের  মাধ্যমে একটি চিংড়ী প্রকল্পের ফ্লাশিং গেট নির্মান করে মৎস্যঘেরীতে পানি উত্তোলন করে থাকে। কিন্তু নদীর জোয়ারে তীব্রতায় পাঁকা নির্মিত ড্রেন দিয়ে পানি প্রবেশে ছাপিয়ে
মসজিদ, ঈদগাহ সহ করবস্থান পানিতে তলিয়ে যায়। মসজিদের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক সহ অত্র মুসল্লীরা বার বার বাবুকে নিষেধ করলে । বাবু তাদেরকে তোয়াক্কা না করে তার মৎস্যঘেরী পরিচালনা করে থাকে। কমিটির পক্ষ থেকে এই লোনাপানি বা ফ্লাশিং গেটটি বন্ধের জন্য বিভিন্ন দপ্তারে অভিযোগ করলে বন্ধের কোন কার্যক্রম হয়নি। শেষ অবধী কমিটির পক্ষ থেকে ফ্লাশিং গেটের পথ নদীর ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিকে ২৪ জন মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসল্লী সহ ১৪/১৫ অজ্ঞত নামায় একটি মামলা হয়। যার নং-০৯। পরদিন মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসল্লী বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়ীতে আসে।
গত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ অনুমান রাত্র ১২টার দিকে বাবুর মৎস্যঘেরীর কর্মচারী আমজাত সহ ভাড়া করা কয়েকজন ব্যক্তি মৎস্যঘেরীর বাসায় আগুন লাগিয়ে দেয়। পরদিন সকালে বাবু মিথ্যা দোষারপ দেখিয়ে মামলা করার পাইতারা শুরু করে।
এলাকাবাসী মেহেদী হাসান বাবু বলেন, ঈদগাহ সহ করবস্থান পানিতে তলিয়ে যায় তার প্রতিবাদ করায় সাহাবুদ্দীন আহমদে (বাবু) আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আবার নতুন করে মামলা দেওয়ার পায়তারা করছে।
এলাকাবাসী হাবিবুর রহমান জগলু বলেন, সাহাবুদ্দীন আহমদে (বাবু) আমাকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ সহ মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ভেটখালী বাজারে গেলে আমার পা ভেঙ্গে দেবে বলে হুমকী প্রদর্শনও করেন।
এলাকাবাসী মতলেব ভাঙ্গী বলেন, আমাদের পুকুরগুলো লোনা পানিতে ভরে গেছে। শুধু এই একটাই মৎস্যঘেরীর জন্য।
এলাকাবাসী রমেচা বেগম (ছদ্মনাম) বলেন, রাতে দেখলাম আমজাদ সহ কয়েকজন মিলে দাড়িয়ে আছে, দাউ দাউ করে আগুন জ¦লছে কিন্তু কোন হাকচিৎকার করেনি বা আগুন নেভানো চেষ্টাও করেনি।
রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন বলেন, এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়বার মামলা হতে পারে? আমি প্রশাসনকে বলেছি প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
সিনিয়ার মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে অভিযোগ পেলে অবশ্য তদন্ত করে দেখবো।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়াহিদ মুর্শিদ বলেন, বিয়ষটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সার্বিক বিষয় নিয়ে একতা ফিস নামীয় চিংড়ী ঘেরীর মালিক সাহাবুদ্দীন আহমদে (বাবু) বলেন, বিগত মামলা আসামীরা আমার মৎস্যঘেরীর বাসায় আগুন লাগিয়েছে।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)