কালিগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন
আসাদুজ্জামানঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের চম্পাফুল ইউনিয়নে ভুমিহীনদের
যাতায়াতের পথ বন্ধ করে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করতে না পারায় স্থানীয়
ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে
মানববন্ধন কর্মসুচি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের
সামনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম আশিকুর রহমান,
সাবেক সাধারন সম্পাদক এহছান হাবিব অয়ন, স্থাণীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ
নেতা আব্দুল গফফার, আব্দুল লতিফ, প্রভাষক নারায়ন চন্দ্র, জাকির হোসেন
প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কালিগঞ্জের চম্পাফুলে ৫ টি পারিবারের দীর্ঘ ২০ বছরের
যাতায়াতের রাস্তা দখল করে ঘর নির্মান শুরু করেন একই এলাকার মৃত মনিরুল
ইসলামের স্ত্রী জাহানারা খাতুন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান
মোজাম্মেল হক মোজামের কাছে অভিযোগ দিলে তিনি জাহানারা খাতুনকে
যাতায়াতের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে ঘর নির্মানের জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু
জাহানারা উক্ত নির্দেশ তোয়াক্কা না দিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ
মোড়ল, ইউপি সদস্য কালাম গাজী, আশরাফ আলী ও কার্ত্তিকের উস্কানীতে
জাহানারা জোরপূর্বক রাস্তা দখল করে ঘর নির্মান করেন। এ ঘটনায় ভুমিহীন
পরিবার গুলো কোন উপায় না পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে অভিযোগ
করেন। পানিউন্নয়ন বোর্ড তাকে ঘর না করার জন্য নোটিশ করেন। কিন্তু
পানিউন্নয়ন বোর্ডকেও তোয়াক্কা না করে লতিফ গংয়ের উস্কানীতে উক্ত
জাহানার ঘর নির্মানের কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে এক পর্যায়ে গত ৩১ আগষ্ট
পানিউন্নয়ন বোর্ড উক্ত ঘর ভেঙে দেন। এতে বর্তমান চেয়ারম্যান মোজামের
কোন সম্পৃক্ততা না থাকার শর্তেও তাকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিথ্যাচার করা
হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের
এস.ও আব্দুল খালেক ও জয়ন্ত দুজনই সৎ কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে
চাঁদাদাবীসহ নানা মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ
ভিত্তিহীন। মূলত জাহানারা খাতুন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে
উক্ত ঘর নির্মাণ করেন। যেকারণে তার ঘর ভেঙে দিয়েছেন। বক্তারা আরো
বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মোজাম গাইন কোন সরকারি সম্পত্তি দখল
করেননি। উল্টো সাবেক চেয়ারম্যান লতিফ ও কালাম গাজী দু’জন মিলে
বরাদহ ¯øাইজ গেটের দুই মুখ আটকে পানি বন্ধ করে ৩০ বিঘার খাস খাল
জবর দখল করে মৎস্যঘের পরিচালনা করে আসছেন। এতে এলাকায় স্থায়ী
জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়ে হাজারো মানুষের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। চরম
ভোগান্তিতে পড়েন সাধারন মানুষ। এছাড়া উজিরপুর বাজারে লতিফ মোড়ল
খাস জমি দখল করে ৩টি দোকান নির্মাণ করে ভাড়া উত্তোলন করে যাচ্ছেন।
ইউপি সদস্য কালাম গাজী বারদহা হাটখোলার উপরে পানি উন্নয়ন
বোর্ডের জমি দখল করে ভাড়া দেন এবং জামায়াতের অফিস নির্মাণ করে দখলে রেখেছেন। এছাড়া ৯ নং ওয়ার্ডের কার্ত্তিক থালনায় খাস সম্পত্তি
দখল করে দোকান নির্মাণ করে ভোগ দখল করে যাচ্ছেন।
বক্তারা এ সময় ভুমিহীনদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে ওয়াপদার সরকারী জায়গায়
অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণে জড়িত জাহানারাসহ তার উস্কানী দাতাদের
বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা
করেন।