করোনায় বিশ্বে কমেছে আক্রান্ত-মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে দৈনিক আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্যানুযায়ী, রোববার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬১৯ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ৬ হাজার ৬০২ জন। আগের দিন শনিবার করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৮৬ হাজার ১২২ এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৯১৩।
অর্থাৎ শনিবার থেকে রোববার, গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ৬০ হাজার ৫০৩ এবং মৃতের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৩১১ জন।
একই সময়ে কমেছে সুস্থতার হারও। রোববার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৯৪ জন। আগের দিন শনিবার এ সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার ২৪৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা ৪৪ হাজার ৬৫৫ জন কমেছে।
রোববার করোনায় সর্বোচ্চসংখ্যক আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে ভারতে। এদিন সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায়। ভারতে রোববার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৫২১ জন এবং মারা গেছেন ২১৮ জন। একই দিন রাশিয়ায় করোনায় মারা গেছেন ৭৯৩ জন এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৬৪৫ জন।
এদিকে বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ১ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজার ৫৫৮ জন। এ রোগীদের মধ্যে মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৮৮ লাখ ২৫ হাজার ৬৪ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৪৯৪ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের পরিসংখ্যান বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২২ কোটি ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৩৮৩ জন এবং মারা গেছেন মোট ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ২৮৬ জন। আর বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১৯ কোটি ৮০ লাখ ৬ হাজার ৫৫৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল চীনে। এরপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।