‘নোয়াখালীর এসপি ইউএনও ওসি পালানোর দরজাও খুঁজে পাবে না’
অনলাইন ডেস্ক :
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালীর এসপিকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, এসপি টিকিট করার সময়ও পাবে না, পালিয়ে যেতে হবে। সাবধান, আমার একজন কর্মীর গায়ে যেন আঘাত করা না হয়। নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন- গাবের লাঠি তৈরি করে রাখার, খেলা জমে উঠবে।
কাদের মির্জা বলেন, ১৪৪ ধারা দিয়ে এসপি, ইউএনও, ওসি মিলে অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মামুনকে রক্ষা করতে পারবে না। তার টাকা খেয়ে ইউএনও ও শিক্ষা অফিসার এক হয়ে আমার দলের নেতা ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুলকে রংমালা দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ থেকে বাদ দিয়ে অবৈধ অ্যাডহক কমিটি করেছে। অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মামুমের পরামর্শে ১৪৪ ধারা দিয়ে আমার প্রতিবাদ সভা বন্ধ করা হয়েছে। যে কারণে এখন পৌর হলে এ প্রতিবাদ সভাটি হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে এমন গণপ্রতিরোধ শুরু হচ্ছে যে, নোয়াখালীর এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থেকে ইউএনও, শিক্ষা অফিসার ও ওসি নোয়াখালী এবং কোম্পানীগঞ্জ থেকে পালিয়ে যাওয়ার দরজা খুঁজে পাবে না। এখনো সময় আছে এখান থেকে চলে যাও।
এ সময় কাদের মির্জা উপস্থিত নেতাকর্মীদের অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মামুনকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই তাকে গণধোলাই দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কাদের মির্জা বলেন, আজ (রোববার) বিকালে হয়ত নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা হতে পারে। কমিটি ঘোষণার পর তাদের (কমিটির সদস্য) নগ্ন ইতিহাস আপনাদের বলব। অপশক্তির বিরুদ্ধে আমার যে আন্দোলন চলছে, এদের পরাজয়-পরিণতি অত্যাসন্ন। নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের আন্দোলন। আমাদের জনস্বার্থে ঐক্যবদ্ধ পরিবর্তনের আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী অপরাজনীতি, বিএনপি, জামায়াত, জাসদ, দুর্নীতিবাজ প্রশাসন ও দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরাও ঐক্যবদ্ধ। আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছব।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপ একই সময়ে রংমালা দারুস সুন্নাহ মডেল মাদ্রাসায় সভার আয়োজন করে। বিবদমান দুই গ্রুপের সমাবেশ আহ্বানের কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসন শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলের চতুর্দিকে ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করে। মাদ্রাসা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন।