শেখ মিরাজ আলীকে ইউনিয়ন আ’লীগ ও দরগাহপুর হাইস্কুলের সভাপতির পদ থেকে বহিস্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ৪নং দরগাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দরগাহপুর কলেজিয়েট হাইস্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতির পদ থেকে অশিক্ষিত হাইব্রিড নেতা শেখ মিরাজ আলীকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ বখতিয়ার উদ্দিন রাজু এই দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারি হাউব্রিড নেতা প্রায় হাফ ডজন মামলার আসামী ৪ নং দরগাহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলীর অত্যাচারে এলাকার জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
তার কারণে ধ্বংস হতে বসেছে এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা। অশিক্ষত হয়েও অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে তিনি দরগাহপুর কলেজিয়েট হাইস্কুলের পরিচালানা পরিষদের সভাপতির পদ দখল করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনিত করেছেন। কলেজিয়েট হাইস্কুলটির উন্নয়নে কাজ না করে তিনি অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা নিতে সবসময় ব্যস্ত থাকেন। তার খামখেয়ালি পনায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। তার অশোভন আচারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীরা সবাই চরম ভাবে ক্ষুব্ধ। পরোক্ষভাবে যার প্রভাব পড়ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা ব্যবস্থার উপর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রাখতে বিদ্যালয়ের পরিচালানা পরিষদের সভাপতির পদ থেকে অশিক্ষিত শেখ মিরাজ আলীকে দ্রুত অপসরন করা দরকার। শেখ বখতিয়ার উদ্দিন রাজু আরো বলেন, চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলী বিগত ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শামছুজ্জামান দুদু’র হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে ও ২৮ এপ্রিল সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন। বিএনপি’র আমলে বিভিন্ন মামলা থেকে অব্যহতি পেতে তার আবেদনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমানুল্লাহ আমান, এমপি যথাক্রমে হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মাওঃ রিয়াছাত আলী ও কাজী আলাউদ্দিন সুপারিশ করেন। পটপরিবর্তন হলে চতুর শেখ মিরাজ আলী ২০১০ সালে আওয়ামীগে যোগদান করেন। পরে রহস্যজনকভাবে ২০১৩ সালে তিনি ৪নং দরগাহপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শেখ মিরাজ আলী সভাপতি হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি।
এমনকি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাথে একটি সভাও করেনি। ফলে বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারি হাউব্রিড নেতা শেখ মিরাজর আলীর কারণে দরগাহপুর ইউনিয়ন আ’লীগের দলীয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। যে কারনে হতাশ হয়ে পড়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এছাড়া চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলী ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত টি.আর, কাবিখা, এডিপি ও এলডিএসপি সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার এসব অনিয়মের কারনে সরকারের ভাবমূর্তি দারুনভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। তিনি একাধিক মামলার আসামী চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলীকে ৪নং দরগাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দরগাহপুর কলেজিয়েট হাইস্কুলের পরিচালানা পরিষদের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কারের জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগ, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।