ভারতের বিপক্ষে রেকর্ডের খেলায় মেতেছেন রুট
হেডিংলি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানে অলআউট হয়েছে ভারত। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৪২৩ রান। স্বাগতিক দলের অধিনায়ক জো রুট একাই খেলেছেন ১২১ রানের ইনিংস। অর্থাৎ পুরো ভারত দলের চেয়ে ৪১ রান বেশি করেছেন রুট একাই।
ক্যারিয়ারের ২৩তম সেঞ্চুরিতে সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসেনকে ছুঁয়ে ফেলেছেন রুট। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় এখন রুটের সামনে রয়েছেন শুধুমাত্র অ্যালিস্টার কুক, ৩৩ সেঞ্চুরি নিয়ে। তবে আরও বেশ কিছু রেকর্ডে কুককে পেছনে ফেলেছেন রুট।
অধিনায়ক হিসেবে রুটের এটি ১২তম সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে সমান ১২টি সেঞ্চুরি রয়েছে কুকেরও। তবে কুক যেখানে খেলেছেন ১১১ ইনিংস। সেখানে ১০০ ইনিংসেই ১২ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন রুট। অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গ্রায়েম স্মিথের দখলে। তিনি ১৯৩ ইনিংসে করেছেন ২৫টি সেঞ্চুরি।
শ্রীলঙ্কা সফরের দুই ম্যাচে ২২৮ ও ১৮৬ রানের দুইটি ইনিংস খেলেছিলেন রুট। পরে ভারত সফরের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করে তার ব্যাট থেকে আসে ২১৮ রানের ইনিংস। এবার ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে পরপর তিন ম্যাচে রুটের ব্যাট থেকে এলো ১০৯, ১৮০* ও ১২১ রানের ইনিংস।
এছাড়াও চলতি বছর সবমিলিয়ে ২১ ইনিংসে ৬৯.৯০ গড়ে ১৩৯৮ রান করেছেন রুট। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে এক বছরে এত বেশি রান করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। এতদিন ধরে সর্বোচ্চ ছিল ২০১৫ সালে কুকের করা ১৩৬৪ রান। অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ডটিও গ্রায়েম স্মিথের দখলে। ২০০৮ সালে ১৬৫৬ রান করেছিলেন তিনি।
এছাড়া ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান হিসেবে এক বছরে সর্বোচ্চ ১৪৮১ রান করেছিলেন মাইকেল ভন। আর এক বছরে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড মোহাম্মদ ইউসুফের। তিনি ২০০৬ সালে করেছিলেন ১৭৮৮ রান। এ রেকর্ডগুলো নিজের করে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ রুটের সামনে। কেননা চলতি ম্যাচের পরেও এ বছর আরও ৫টি টেস্ট পাবেন তিনি।
এদিকের ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে এক বছরে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড আগেই করেছিলেন রুট। এবার ডেনিস কম্পটন (১৯৪৭) ও মাইকেল ভনের (২০০২) পর তৃতীয় ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে এক বছর ছয়টি সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন তিনি। বছরে সর্বোচ্চ ৯ সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড মোহাম্মদ ইউসুফের।