সাতক্ষীরার নেবাখালীতে মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ

 সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়নের নেবাখালী গ্রামের একটি মাছের ঘেরে বিষ ফেলে মাছ মেরে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার নেবাখালী এলাকায় আলাউদ্দীন মাস্টারের ছেলে রবিউল ইসলাম ডালিমের ১২ বিঘা ঘেরে বিষ প্রয়োগ করা হয়। বিষক্রিয়ায় ঘেরে চাষ করা বিপুল পরিমাণ রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া ও চিংড়ি মাছ মরে পানির উপরে ভেসে উঠেছে।

ঘেরের মালিক ডালিম বলেন, বুধবার রাতে ঘেরের বাসায় ছিলাম। আনুমানিক ১০টার দিকে ঘেরের সবজির বাগানে কিছুর শব্দ শুনতে পেলে চিৎকার করি কয়েকবার তার পর ভাবলাম মনের ভুল হতে পারে। এর কয়েক ঘন্টা পরর লাইট মেরে দেখি প্রচুর মাছ লাফাচ্ছে।

বুঝতে পারলাম, মাছের কোনো সমস্যা হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মাছের লাফালাফি বন্ধ হয়ে যায় এবং সব মাছ মারা যায়। প্রতিবেশী ও ভাইদের নিয়ে দ্রুত জাল টানার ব্যবস্থা করেও মরা মাছ বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। এর আগে চিংড়ি মাছের টপে বিষ দিয়েছিলো। তারআগে গতবছর ঠিক একই সময় বিষ দিয়ে আমাকে পথে বসিয়ে দিয়েছিলো।

এবার অনেক দেনা করে শেষ সম্বল বিক্রি করে ক্ষতি পোষাতে মাছ চাষ করেছি। আবারও বিষ দিয়ে আমাকে পথে বসিয়ে দিলো। আমার এখন আত্মহত্যা ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন আমার এত কষ্টের ফসল যারা নষ্ট করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ মাছ চাষ করে। অনেক টাকা বিনিয়োগ এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় মাছ বিক্রি করতে। কিন্তু দূর্বৃত্তদের বিষে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব মাছ মরে গেল। এভাবে চললে মাছ চাষ বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

স্থানীয় ঘের মালিক প্রতিবেশী মৃত হানিফ এর ছেলে রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারায় ডালিমের ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর আগেও তার ঘেরে বিষ দিয়ে তাকে পথে বসিয়েছে দেনার দায়ে ছেলেটি পাগল প্রায় এখন। আমরা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও ঘের মালিক ডালিমের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করছি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)