খন্দকার মোশতাকপুত্র-নাতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধুর খুনি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দশপাড়া গ্রামের খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর ছেলে খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু ও নাতি (বাবুর ছেলে) খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদ এর বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
জালিয়াতি ও প্রতারণা করে পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বিক্রি ও আত্মসাতের চেষ্টাসহ নানা অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কুমিল্লার ৩ নম্বর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম মাহবুব খান ওই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। মামলার বাদী ওই সম্পত্তির ওয়ারিশ ও খন্দকার মোশতাকের ভাগিনা খন্দকার জাবির আহমেদ সরোয়ার। বুধবার বিকালে আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইফতেখার হোসেন।
মামলার বাদী খন্দকার জাবির আহমেদ সারোয়ার সাংবাদিকদের জানান, মোশতাকপুত্র খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু তাদের পূর্বপুরুষের সম্পত্তি দখলে রাখতে এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেন। এরই মধ্যে মোশতাকপুত্র বেশ কিছু সম্পত্তি জাল দলিল ও ভুয়া স্বাক্ষরে বিক্রয় করে দেন। এতে সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে অংশীদারিত্ব পেতে ৩ জনকে আসামি করে তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ইশতিয়াক আহমেদ বাবু, তার ছেলে ইফতেখার আহমেদ শাদ ও কেয়ার টেকার নিজামুদ্দিনকে আসামি করা হয়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু ও খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদ কানাডায় পলাতক রয়েছেন। সম্পত্তির আরেক ওয়ারিশ কাজী রেহা কবির বলেন, খুনী মোশতাক তার নানার পরিবারের সদস্য হলেও আদর্শগত কারণে তাদের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক নেই। পলাতক আসামিদের অবিলম্বে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি জানান তিনি।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইফতেখার হোসেন জানান, আসামি খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু ও তার ছেলে খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদ পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত মঙ্গলবার বিকালে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে, আদেশের বিষয়টি বুধবার বিকালে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ মামলার অপর আসামি নিজাম উদ্দিন জামিনে রয়েছেন। দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার আসামি খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু ও খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদ বিদেশে পলাতক আছেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা হাতে পেলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শক্রমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।