দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর পুরো সড়কপথ
নিউজ ডেস্ক:
স্বপ্নের পদ্মাসেতু প্রকল্প নতুন এক মাইলফলক পূরণ করেছে আজ। সোমবার সকাল ১০টার পর পদ্মাসেতুর ১২ ও ১৩ নং পিলারের ওপরে শেষ স্ল্যাব বসানো হয়েছে। এতে সড়কপথের ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পেয়েছে পূর্ণাঙ্গ রূপ।
পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের ডেইলি বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১০টা ১২ মিনিটের সময় সর্বশেষ স্ল্যাবটি বসানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজের আর বাকি ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এদিকে পদ্মাসেতুতে আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে (ব্যয়) ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের চুক্তি মূল্য প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মাসেতুর কাজ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর মধ্যদিয়ে দৃশ্যমান হতে থাকে পদ্মাসেতু।
পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দৈঘ্যের ৪১টি স্প্যান একে একে বসানো হয়। সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। এতে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছিল। ২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা রয়েছে।