কাবুল বিমানবন্দরে ২০ জনের মৃত্যু: ন্যাটো
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তান তালেবানের হাতে যাওয়ার পর দেশ ছাড়তে মরিয়া বহু মানুষ ভিড় করছেন কাবুল বিমানবন্দরে। চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের দূতাবাসকর্মী, নাগরিক ও আফগান দোভাষিদের সরিয়ে নিচ্ছে দেশটি থেকে। এর মধ্যে বিমানবন্দর এলাকায় গত ৭ দিনে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ন্যাটোর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানবন্দর এলাকায় যে সংকট তৈরি হয়েছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে বিদেশিদের যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে নেওয়া।
গত সপ্তাহ থেকে শুরু করে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে কাবুল বিমানবন্দরে। ন্যাটোর ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তালেবানের সঙ্গে কোন ধরনের বিবাদে না জড়িয়ে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনার পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকানোর অভিযোগ তুলে আফগানিস্তানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র রাষ্ট্রগুলো। উৎখাত হয় তালেবান সরকারের। ২০ বছর ধরে চলা তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সেই যুদ্ধে নিহত হয়েছেন বহু মানুষ। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ভেঙে পড়েছে আফগানিস্তানের অর্থনীতি।
কয়েক বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের দোহায় তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেন। গত এপ্রিলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট তারই ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তানে চলা ২০ বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতেঘোষণা দেন মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের। এরপর থেকেই তালেবান কাবুল দখলের জন্য আফগান বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই শুরু করে। সাড়ে তিন মাসের লড়াই শেষে গত রোববার কাবুল দখলে নেয় তালেবান। এরপর ২০ বছর আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করে তারা।