রাতের আঁধারে তিনটি কৃষ্ণচূড়া গাছ নিধন!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কৃষ্ণচুড়া গাছের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ। নামের আগে কৃষ্ণ থাকায় এ গাছ যেন নিজেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। ফলে প্রতিবছরই এ গাছের সংখ্যা কমে আসছে। কমে যে আসছে তা বসন্ত এলেই বোঝা যায়। আর সে কারণেই এখানকার প্রকৃতিতে আর সেই আগের মত বসন্তের শেষ দিকে ও গ্রীষ্মের উত্তপ্ত রৌদ্রোজ্জ্বল প্রকৃতিতে ধরা দেয় না রক্তাক্ত কৃষ্ণচূড়া।

ফলে এবার আর হয়তো রক্ষা পাবে না বেঁচে থাকা অবশিষ্ঠ কৃষ্ণচূড়া। আর সেটা কি সাতক্ষীরা জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকেই শুরু হলো?

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ চত্বরে ছিল বিশাল আকৃতির তিনটি কৃষ্ণচূড়া গাছ। শনিবার রাতের আধারে তা কেটে ফেলা হয়েছে। দিনের বেলা কাটলে হয়তো বিষয়টা এভাবে ধরা যেত না। কিন্তু রাতের আধারে হওয়ায় বিষয়টি পেয়েছে অন্য মাত্রা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, শনিবার রাতে বিশাল আকৃতির তিনটি কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটা শুরু হয়। এলাকাবাসি বিষয়টি তাৎক্ষণিক সাংবাদিকদের জানায়। সাংবাদিকরা সেখানে যেতে যেতে গাছগুলো কাটা শেষ হয়।

একপর্যায়ে কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আমানুল্লাহ হাদীকে ঘটনাস্থলে দেখা গেলেও পরে কথা বলতে যেয়ে তাকে আর পাননি উপস্থিত সংবাদকর্মী।

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আমানুল্লাল হাদীর সাথে গাছ কাটার বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি গাছ কাটতে যাব কেন। কলেজের প্রিন্সিপালের অনুমতি নিয়ে গাছগুলো কাটা হয়েছে। তাছাড়া ঝড়ে গাছগুলো হেলে পড়ায় ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে গাছগুলো কাটা হয়েছে। কোন টেন্ডার ছাড়াই রাতের আধারে গাছগুলো কীভাবে কাটলেন এমন প্রশ্নে তিনি অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আফজাল হোসেনে সাথে একাধিক বার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)