চার মাস আগে তালাক পাঠিয়েও স্ত্রীর ভয়ে ঘরছাড়া স্বামী
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি:
ঘর ছেড়ে চলে যাওয়া স্ত্রীকে তালাক পাঠানোর ৪ মাস পরও স্ত্রী স্বামীর ঘরে এসে জেপে বসায় স্বামী ঘরছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি গ্রামে। এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গুনাকরকাটি গ্রামের মৃত রোকন উদ্দীনর সরদারের পুত্র গোফরান উদ্দীনের সাথে শ্রীধরপুর গ্রামের মোক্তার সরদারের কন্যা মুসলিমার বিয়ে হয় ২০১৪ সালে। বিয়ের পর তাদের ঔরসে দু’টি সন্তানের জন্ম হয়। দেনমোহরের টাকা বাবদ স্বামী তার স্ত্রীর নামে বুশরা বুধহাটা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ -এ এক লক্ষ টাকার এমপিডিআর করে দেন ২৯/১০/১৮ তাং। স্ত্রী রাগী, জেদি, বদমেজাজী,ঝগড়াটে পরবুদ্ধিধারী হওয়ায় খুটিনাটি বিষয় নিয়ে স্বামীস্ত্রীর মধ্যে ও বাড়ির লোকজনের সাথে ঝগড়া হতো।
এনিয়ে স্ত্রী নিজের ইচ্ছায় বাপের বাড়িতে যখন তখন চলে যাওয়া ও ফিরে আসার ঘটনা ঘটতো। এনিয়ে কিছু বলতে গেলে মামলা, জানমালের ক্ষতি সাধনের হুমকী দিতে থাকে। এনিয়ে স্থানীয় ভাবে বসাবসি হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। একপর্যায়ে মুসলিমা ঘর সংসার করতে অনিহা প্রকাশ করে পিত্রালয়ে চলে গেলে গত ৪ এপ্রিল রেজিষ্ট্রী ডাকযোগে তাকে তালাক নামা ও ইউপি চেয়ারম্যান দরগাহপুরকে তালাকনামার কপি প্রেরন করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান ১৮ এপ্রিল গ্রহন করলেও মুসলিমা গ্রহন করেনি। তালাক পত্রের ১১ নং কলামে উল্লেখ আছে “৯০ দিন পর তালাক কার্যকরি করা হবে, যদি আপোষ মীমাংনা না করা হয়”। তালাক পাঠানোর কথা জানতে পেরে মুসলিমা গত ২২ মে বেলা ১১ টার দিকে গুনাকরকাটি গিয়ে কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে গোফরানের ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে নতুন তালা আটকে ঘরের মধ্যে অবস্থান করে। গোফরান বিভিন্ন ভাবে স্থানীয়দের সাহায্যে তাকে পিত্রালয়ে পাঠানোর চেষ্টা কওের ব্যর্থ হন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ঘটনা জানানো হলেও তিনি কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেননি। ফলে গোফরান নিজে বাড়ি ছাড়া হয়ে বাইরে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। তার আশঙ্খা সে যেকোন সময় নিজে নিজেই বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করে তাদেরকে বিপদে ফেলাতে পারে। এব্যাপারে তিনি জন প্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারস্থ হয়েও কোন সহযোগিতা না পেয়ে চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন।