পরাজিত আফগান প্রেসিডেন্টের কোথাও মিলছেনা ঠাঁই
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
তালেবানের কাছে অবিশ্বাস্যভাবে পরাজয়ের পর নিজ দেশ ছেড়ে প্রতিবেশি দেশ তাজিকিস্তানে পালিয়ে যান আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। কিন্তু সেখানে আশ্রয় না পেয়ে বিমান ঘুরিয়ে ওমান পৌঁছেছেন তিনি। তবে ওমান সরকার আশরাফ গনিকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে কি না, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। তবে সোমবার পর্যন্ত ওমানেই রয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাগুলো জানিয়েছে, ওমানে আশ্রয় না পেলে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পারেন আফগানিস্তানের পরাজিত এ প্রেসিডেন্ট।
দীর্ঘ দিন পর্যন্ত আশরাফ গনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন। ২০১৪ সালে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে সেই নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন তিনি। তবে তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তাই শেষ পর্যন্ত গনি দেশটিতে আশ্রয় নিতে পারেন বলে জল্পনা চলছে।
ওমানে আশরাফ গনির সঙ্গে আফগানিস্তানের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামিদুল্লাহ মুহিবও রয়েছেন। তালিবানের সামনে কখনও মাথা নত করবেন না বলে বার্তা দিলেও, সদ্য সাবেক উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ তাজিকিস্তানেই রয়েছেন।
এদিকে তালেবান যোদ্ধাদের হাতে কাবুল পতন হওয়ার প্রেক্ষাপটে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির দেশছাড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির নাগরিকরা। এমনকি তাকে ‘কাপুরুষ’ বলে অভিহিত করছেন তারা।
রোববার তালেবান বাহিনী বিনাবাধায় রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে। এর পর রাতে ফেসবুক পোস্টে গনি জানান, ‘রক্তপাত এড়ানোর জন্যই’ তিনি কাবুল ছেড়েছেন। তার হাতে এর কোন বিকল্প ছিল না।
ব্রিটিস সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গনির দেশত্যাগের খবরে তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় ব্যর্থতার জন্য তাকে দায়ী করে সামাজিক যোগাযেগ মাধ্যমে নাগরিকদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান এক টুইটে প্রেসিডেন্ট গনির সমালোচনা করে বলেন, আমাদের হাত পিছমোড়া করে বেঁধে জন্মভূমিকে বিক্রি করে দিয়েছে জঘন্য ওই ধনী ব্যক্তি আর তার দল।