খুলনায় মেয়ে জামাই এর যোগসাজসে বিধবা মহিলার ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ
Post Views:
৬৮১
আব্দুর রশিদ বাচ্চু, খুলনা
খুলনা হরিণটানার ঘোলা গ্রামের মৃত পংকজ মল্লিকের স্ত্রী বিধবা মঞ্জু রনী মল্লিকের স্বামীর ব্যাক্তিগত জমি বিক্রির অর্থ আত্মসাৎ করেছে তারই ছোট মেয়ে সুচরিতা মল্লিক। বীর মুক্তিযোদ্ধা হরিপদ মল্লিকের সভপতিত্বে ১৪ আগষ্ট অনুষ্ঠিত সভায় ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায় মঞ্জু রানী মল্লিক বিগত কয়েক বছর পূর্বে তার স্বামীর জমি ১৮ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে,স্বামীর শ্রাদ্ধ শান্তি করে এবং দেনা পরিশোধ করার পর অতিরিক্ত টাকা তার নামে ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবে জমা রাখার জন্য ছোট মেয়ে সুচরিতা মল্লিকের উপর দায়িত্ব দেয়। সে উক্ত টাকা তার মায়ের নামে জমা না রেখে নিজে স্বামীর যোগসাজসে মা “মঞ্জু রানী মল্লিক ও সুচরিতা মল্লিক ” নামে যৌথ হিসাব খুলে পূবালী ব্যাংক লি: কৈয়া বাজার শাখায়। যার হিসাব নং ২৭৬৭১০১১৩৫৮০৩। উক্ত ব্যংক হিসাবের টাকা ৫বছর মেয়াদ শেষে লাভের টাকা জমা রেখে, গত ০৬/০৯/২০২০ তারিখে ৯,০০,০০০/=(নয় লক্ষ টাকা ) টাকা উক্ত মঞ্জু রানী মল্লিক বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখার জন্য তার ছোট মেয়ে সুচরিতা মল্লিক কে দায়িত্ব দেয়। তখন উক্ত সুচরিতা মল্লিক তার স্বামী শিমুল মন্ডলের চক্রান্তে প্রভাবিত হয়ে নিজের নামে এবং তার মা মঞ্জু রানী মল্লিকের যৌথ নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি তিন মাস মেয়াদী সরকারি সঞ্চয়পত্র ক্রয় করে। তখন থেকে পূবালী ব্যাংক কৈয়া বাজার শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব নং- ২৭৬৭১০১১৩৫৮০৩। নং সঞ্চয়ী হিসাব এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লভ্যাংশের টাকা তিন মাস পর পর জমা হয়। তিনি বিশ্বাস করে বাংলাদেশ ব্যাংক সঞ্চয় পত্রের মূল কপি এবং পূবালী ব্যাংক হিসাবের চেক বই সহ সকল দলিল প্রমাণাদি মেয়ে সুচরিতা মল্লিকের নিকটে জমা রাখেন। সেই সরল বিশ্বাসের সুযোগে সুচরিতা মল্লিক তার মা মঞ্জু রানী মল্লিককে চেকে সহি করিয়ে সুদের টাকা উত্তোলন করেন। অশিক্ষিতা মাকে ফুসলিয়ে তার অজান্তে এক সাথে ৯ টি চেকের পাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। ফলে গত ২০/১২/২০২০ তারিখে ৫৪৯১৭৫২ নং চেকের মাধ্যমে ২৩,৯০০/=(তেইশ হাজার নয় শত টাকা), ১১/০৩/২০২১ তারিখে ৫৪৯১৭৫৪ নং চেকের মাধ্যমে (২৩,০০০/= টাকা), ২২০৬২০২১ তারিখে ৫৪৯১৭৫৯ নং চেকের মাধ্যমে (১,০০০/= টাকা) ২৭০৭২০২১ তারিখে (২,৫০,০০০/)=দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা উত্তোলন করে নেন । সর্বশেষ দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা তোলার বিষয়টি ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার মা ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে রেখেছেন। তিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সরকারি সঞ্চয়পত্র ভেঙ্গে নেন । বিষয়টা জানতে পেরে তার মা সালিশ বৈঠক ডাকেন সেখানে সুচরিতা মল্লিকের কাছে ব্যাংকের টাকার হিসাব চাইলে, তখন সে উক্ত টাকার হিসাব দিতে অস্বীকার করেন। উত্তর শৈলমারী ট্রলারঘাট এলাকার সালিশি বৈঠকে যদিও সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হরিপদো মল্লিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন মঞ্জুরানীর সমস্ত টাকা তার নিজ হিসাবে ব্যংকে জমা থাকবে এবং তার চার কন্যার নামে নমিনি করে হিসাব পরিচালিত হবে।পরবর্তীতে মঞ্জু রানীর মৃত্যুর পর,সমস্ত টাকা-পয়সা তার ৪ মেয়ে সমান হারে বন্টন করিয়া লইতে পারিবে এই সিদ্ধান্ত দিয়ে সভা-সমাপ্ত করেন। শালিশি সভায় উপস্হিত ছিলেন সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হরিপদো মল্লিক,বীর মুক্তিযোদ্ধা মো:রুহুল আমিন আকন,হরিচাদ ঢাকইদার, মনোরঞ্জন মহালদার, বাবুল মহালদার,সংবাদিক তুষার কবরাজ,সংবাদিক অমলেন্দু বিশ্বাস ,সৌমিত্র বৈরাগী, সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পরবর্তী সময়ে কিছু বাজে কথা বলাবলিকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদ হয়। স্হানীয় লোকজন উক্ত বিবাদ থামিয়ে উভয় পক্ষকে যার যার বাড়িতে যাওয়ার পরামর্শ দেন ।