উঠে যাওয়া বিধিনিষেধে করোনা আরও লাগামহীন হবে!
ডেস্ক নিউজ:
উঠে গেলো টানা ১৯ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। কোরবানির ঈদের কারণে এক সপ্তাহের জন্য কিছুটা শিথিল করলেও পুরো জুলাই মাস জুড়ে চলেছে কঠোর বিধিনিষেধ। দীর্ঘ এসময় জুড়ে বিধিনিষেধ চললেও তা করোনাভাইরাসকে কতোটুকু দুর্বল করতে পেরেছে, তা নিয়ে শক্ত আলাপ চলছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে বিধিনিষেধ উঠে যাবার কারণে রাস্তায় নেমেছে সব ধরনের গণপরিবহন। চালু হয়েছে লঞ্চ ও ট্রেনে যাত্রী চলাচল। আকাশপথও খুলেছে একইভাবে
এদিকে, দীর্ঘ ১৯ দিন বন্ধ থাকার পর দেশের সব দোকান-পাট, শপিংমল, মার্কেটও খুলে গেছে যথারীতি।
সবকিছু খুললেও আগস্টের প্রথম দিন থেকেই চালু হয়েছে দেশের শিল্প-কারখানা। পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিকদের অনুরোধে সরকার খুলে দেয় কারখানাগুলো।
তবে সবকিছু খোলা থাকলেও দেশেরশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকছে এখনো। একইসাথে বন্ধ থাকছে দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলো।
এদিকে কোরবানির ঈদের কারণে এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ শিথিল ব্যতীত জুলাই মাস জুড়েই সবকিছু বন্ধ ছিল, যা আগস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তারপরও এসময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা পুরোসময়েই উদ্বেগ জাগিয়েছে যথারীতি।
জুলাই থেকে বর্তমান আগস্ট পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ দেখেছে করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু। প্রতিদিন শতাধিকের উপরে মৃত্যু ও বিপুল পরিমাণে আক্রান্তের পাশাপাশি হাসপাতালে উপচে পড়া রোগী, সাধারণ শয্যা ও আইসিইউ এর সঙ্কট, অক্সিজেনের স্বল্পতা সবকিছুই ছিল মাথা ব্যথার কারণ হয়ে।
এতোকিছুর পরেও এসময়ে করোনারোধী টিকাদান কর্মসূচী চলেছে পূর্বের থেকে কিছুটা গতিলাভ করে। শহরাঞ্চল থেকে টিকাদান কর্মীরা গ্রাম, ইউনিয়ন পর্যায়ে ছুটে গেছে টিকা নিয়ে।
জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমতা আনতে সবকিছু খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বারবার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদেরও একই পরামর্শ। স্বাস্থ্যবিধি মানা না গেলে করোনা যে আরও লাগামহীন হবে তা বলাই বাহুল্য।