খুলনায় ১০ টাকার চাল বিক্রি শুরু সেপ্টেম্বরে
নিউজ ডেস্কঃ
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষকে খাদ্য সহায়তার জন্য খুলনার ৬৮টি ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রি হবে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। কর্মসূচি চলাকালীন প্রতি মাসে জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
জেলার দুটি কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম ও উপজেলা পর্যায়ে ৮টি গুদামে ৫৪ হাজার ৬৮০ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে। মজুদকৃত চালের মধ্যে ১৬ হাজার ৪১৮ মেট্রিকটন ভারত থেকে আমদানি করা।
জেলা খাদ্য অফিস সূত্র জানায়, মহানগরীর বাজারগুলোতে মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা, মাঝারি চাল ৪৮-৫০ টাকা, চিকন চাল ৫৬-৫৮ টাকা, উপজেলা পর্যায়ে মোটা চাল ৪১ থেকে ৪২ টাকা, মাঝারি চাল ৪৬-৪৮ টাকা এবং চিকন চাল ৫৪-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খাদ্য অধিদফতরের এক পরিচালক জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় সরকার তিন মাসের জন্য এ সুযোগ দিয়েছে। এ চাল কালো বাজারে বিক্রি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
বটিয়াঘাটা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, এ কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের জন্য নতুন কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে চাল বিক্রির জন্য ডিলারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সপ্তাহে পাঁচদিন এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুজিত কুমার মুখার্জী জানান, উপজেলা খাদ্যগুদামে মজুত সঙ্কট হলে জেলা খাদ্য অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় অথবা পার্শ্ববর্তী গুদাম থেকে ডিলারদের চাল সংগ্রহ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় জেলায় ৮৩ হাজার ৯৪৪ পরিবার এ সুবিধা পাবে। এর মধ্যে দাকোপ উপজেলায় ১৪ হাজার ৬৯৫, ডুমুরিয়া উপজেলায় ৮ হাজার ৯৫৬, পাইকগাছা উপজেলায় ১৩ হাজার ১২৩, তেরখাদা উপজেলায় ৪ হাজার ৫২০, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১০ হাজার ৫০৪, ফুলতলা উপজেলায় ৪ হাজার ৮৪, কয়রা উপজেলায় ১০ হাজার ৩৫৯, রূপসা উপজেলায় ১০ হাজার ২৮৮ ও দিঘলিয়া উপজেলায় ৭ হাজার ৪১৫ পরিবার।
জেলার ১৭৩ জন ডিলার ১ সেপ্টেম্বর থেকে চাল বিক্রি করবে। আমন ধান ওঠার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ নভেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। প্রতি মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দুঃস্থ অসহায় পরিবারের মধ্যে ২ হাজার ৫১৮ মেট্রিকটন চাল বিক্রি হবে।
এর আগে চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে উল্লিখিত পরিমাণ কার্ডধারীদের মধ্যে ১২ হাজার ৫৮৭ মেট্রিকটন চাল বিক্রি করা হয়।