এবার র্যাবের তালিকায় যেসব অভিনেত্রী-মডেলের নাম
বিনোদন ডেস্ক:
শোবিজ অঙ্গনের কাজ করে সুনাম কুড়ানোর পাশাপাশি অনেকে পর্নোগ্রাফি জগতেও প্রবেশ করেছেন। এক কিংবা দুই জন নয়, অন্তত ডজনখানেক জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব।
এর মধ্যে অন্যতম হলেন- চিত্রনায়িকা আঁচল, অভিনেত্রী ও মডেল শিরিন শিলা, ছোটপর্দার অভিনেত্রী অহনা, অভিনেত্রী সুচিস্মিতা মৃদুলা, পার্শা, মৌরি, শুভা, মানসি ও কথিত মডেল নায়লা নাঈম। এছাড়া আরো বেশ কয়েকজন চিত্রনায়িকা মাদক এবং অবৈধ পর্নোগ্রাফি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নিজ বাসা থেকে মদসহ চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ। পরীমনি তার ঘনিষ্ঠ মডেলদের মাধ্যমে একটি চক্র গড়ে তোলেন। উঠতি মডেল এবং চিত্রনায়িকাদের পর্নোছবি তুলে পাঠানো হতো কথিত হাই-প্রোফাইলদের কাছে। তার মাধ্যমে অনেকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হন। এ বিষয়ে র্যাবের গোয়েন্দা অনুসন্ধান চলমান। বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম বলেন, পরীমনি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, পর্নোচক্রে বেশ সক্রিয়ভাবে আছেন জনৈক মৃদুলা, অহনা ও নায়লা নাঈম নামের কথিত মডেলরা। এরা সবাই র্যাবের নজরদারিতে আছেন। গ্রেফতার হতে পারেন যে কোনো সময়। তবে শুধু নায়িকা বা মডেল নন। বেশ কয়েকজন চিত্রনায়ক মাদক এবং অবৈধ পর্নোগ্রাফি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
এদের মধ্যে অন্যতম হাসান নামের জনৈক চিত্রনায়ক। তিনি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সিনেমা জগতের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন থাকলেও বিলাসহুল জীবনযাপন করছেন। তার অবৈধ আয়ের মূল উৎস পর্নোগ্রাফি।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে চলত অনৈতিক কর্মকাণ্ড। বসানো হতো মাদকের আসর। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে এসেছে দেশি-বিদেশি ৫০ মডেল-অভিনেত্রীর নাম-পরিচয়। যাদের অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হতো।
রাজধানী ঢাকার গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পার্টির নামে মাদক সেবনসহ অনেক অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্যে নজরদারি বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে র্যাব।