শ্যামনগরে ভাটার টাকা মিমাংসা করে দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ
আশিকুজ্জামান লিমনঃ
শ্যামনগরে ভাটার টাকা মিমাংসা করে দেওয়ার নামে করে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে ৷ ঘটনার বিবরণে ভুক্তভোগীর মাধ্যমে জানাগেছে, উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের আমিনউদ্দীনের পুত্র মাছুম দীর্ঘদিন ধরে ভাটার সরদারি করে আসছে ৷ গত ২০১৯ সালে একুই এলাকার ওমচরণ মুন্ডার পুত্র রথিন মুন্ডা ভাটায় যাওয়ার জন্য মাছুমের কাছ থেকে অগ্রীম ৪০ হাজার টাকা নেয় ৷ ভাটার সময় আসলে রথিন ভাটায় যেতে অশিকার করে এবং টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে ৷ রথিন দীর্ঘদিন তালবাহনা করে টাকা না দেওয়ায় মাছুম ঘটনার বিবরণী উল্লেখ করে শ্যামনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দ্বায়ের করে ৷ অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্যামনগর থানা পুলিশ জসিমউদ্দীন বিষয়টি গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে মিমাংসা করার জন্য স্থানীয় আঃ সালামের পুত্র মিকাইলের উপর ভার দেন ৷ মিকাইল ও স্থানীয় আঃ গফ্ফার গাজীর পুত্র খোকন যোগসাজশে মিমাংসা করে দেওয়ার নাম করে মাছুম ও রথিনকে ডেকে টাকা দেওয়ার সময় নেয় এবং মিমাংসা পত্রের নামে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দুজনের স্বাক্ষর করে নেয় ৷ রথিন নিদিষ্ট তারিখে নগত ২৫ হাজার টাকা মিকাইল ও খোকনের হাতে তুলে দেয় এবং মাছুমকে জানাই ৷ মাছুম মিকাইলের কাছে টাকা চাইলে মিকাইল ও খোকন মাছুমকে তাড়িয়ে দেয় এবং মাছুমের কাছে আরও টাকা পাবে মর্মে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প দেখায় ৷ বিষয়টি শ্যামনগর থানা পুলিশ জসিমউদ্দীনকে জানালে তিনি মিকাইলের কাছে ফোন করেন কিন্তু মিকাইল বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এড়িয়ে যায় ৷
মিকাইলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ করেনি ৷
তবে শ্যামনগর থানা পুলিশ জসিমউদ্দীন বলেন, আমার কাছে অভিযোগ দিলে দু’পক্ষ হাজির হয় এবং মিকাইল বিষয়টির দ্বায়িত্ব নেয় ৷ মাছুম ও রথিনের সরলতার সুযোগে এমন কাজ করেছে ৷ মিকাইল বাড়ি বর্ডার এলাকা হওয়ায় রাস্তায় প্রচুর কাঁদা ৷ রাস্তা ভালো হলে আমি বিষয়টির ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ৷ অন্যদিকে মাছুম ও রথিন বিচারের আশায় গন্যমান্য ব্যক্তি সহ স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷
Please follow and like us: