সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এক ভ্যান চালক দম্পতিকে মারপিট ও মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ কর্তৃক এক দরিদ্র ভ্যান চালক দম্পতিকে মারপিট করার পর মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কালিগঞ্জ উপজেলার ঘুশুড়ি গ্রামের মোঃ এশার আলীর ছেলে ভ্যান চালক মোঃ কুতুবুদ্দীন এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন গরীব ভ্যান চালক। কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মফুর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর, জাহিদ হোসেন, ঘুশড়ী গ্রামের মৃত রহিম বক্সের ছেলে আমার পিতা এশার আলী ও আমরা বোন নুরজাহান গংয়ের সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে আমাকে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করার বিরোধ চলে আসছিল। বোন নুরজাহান স্বামীর সংসার না করে আমার পরিবারে এসে আমাদের পিতা-পুত্রের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করেআসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ জুলাই ঈদেও দিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উল্লেখিত জাহাঙ্গীর ও জাহিদ সহ আরো কয়েকজন বে-আইনীভাবে হাতে দা, লাঠি, শাবল সহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে আমার পিতা এশার আলীর হুকুমে জাহাঙ্গীর ও জাহিদ আমাকে বাড়ির আঙ্গিনায় থাকা একটি নিম গাছের সাথে রশি দিয়ে বেধে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক ফোলা জখম করে। ট৬ভ্যান চালক কুতুবুদ্দীন আরো বলেন, আমাকে মারপিট করার সময় আত্মচিৎকার শুনে আমার স্ত্রী সেলিনা খাতুন আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে পিতা এশার আলীর হুকুমে জাহাঙ্গীর ও জাহিদ হত্যার উদ্দেশ্যে শাবল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এতে আমার স্ত্রী সেলিনা খাতুনের বাম কানে লেগে (চারটি সেলাইযুক্ত) রক্তাক্ত যখম প্রাপ্ত হয়। এসময় বোন নুরজাহানের হুকুমে জাহাঙ্গীর দা দিয়ে কোপ মারলে আমার স্ত্রী সেলিনা খাতুনের মাথার বাম পার্শ্বে লেগে গুরুতর হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। তারা আমার স্ত্রীর পরনের কাপড় টানাটানি করে ছিড়ে তাকে বে-আব্রু করে। বর্তমানে আমার স্ত্রী শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের পাশাপাশি মাথায় ও কানে নয়টি সেলাই নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।
তিনি আরো বলেন, এঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে একজন পুলিশ অফিসার সরেজমিনে তদন্তে আসেন। এঘটনার পর জাহাঙ্গীর ও জাহিদ হোসেন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং আমাকে বিভিন্ন মিথে মামলায় ফাসনোর ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। যে কোন মুহর্ত্বে তারা আমার বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। ফলে পারিবারের সদস্যদের নিয়ে বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।