ঝিকরগাছার কুমরি প্রামে পানি নিস্কাশনের কালভার্ট বন্ধ থাকায় পানিবন্দী ৩০টি পরিবার
আঃ জলিল:
ভারি বর্ষণ ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের কুমরী গ্রামের ৩০টি পরিবার। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বয়স্ক সদস্যরা। এ ব্যাপারে বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে,নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে উপজেলার কুমরী গ্রামের প্রায় ৩০টি পরিবার ৫/১০ দিন যাবত পানিবন্দী হয়ে আছেন। বসত ঘর ও বাড়ির উঠানে জমে আছে হাঁটু পানি। প্রতিদিন পানি পেরিয়ে তাদের দৈনন্দিন কাজ করতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় পনিবন্দী থাকায় পরিবারগুলোর বিভিন্ন সদস্যর মধ্যে দেখা দিতে শুরু করেছে পানি বাহিত রোগ।
ওই সব এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দা ছিদ্দিক হোসেন ও কেসমত আলী জানান, দীর্ঘ ১শ বছর যাবৎ যে জমি দিয়ে নিচু গ্রামের পানি নিস্কাশন হতো সেই জায়গা বর্তমানে কুমরী গ্রামের আনার মাটি দিয়ে বন্ধ করার ফলে এবার আষাঢ়ের লাগাতার বৃষ্টির পানি জমে তাদের বাড়িতে উঠেছে। তারা আরো জানান, পানি নিস্কাশনের জন্য জমির মালিককে অনেক অনুরোধ করেও কাজ হয়নি।বরং তদবির করে কেও কিছু করতে পারবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে বলেন কারন জায়গা টা আমার।
কুমরী ইউপি সদস্য বজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,কুমরী গ্রামের পানি দীর্ঘ ১শ বছর যাবৎ গ্রামের রাস্তার পাশ দিয়ে কুমরী বিলে গিয়ে নামতো। বর্তমানে সেই জমি বিক্রি হওয়াই মালিকানা পরিবর্তন হওয়ার পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছে কুমরী বাসী।কুমরী গ্রামের আনার পানি নিস্কাশনের সেই কালভার্ট টি বন্ধ করে দেওয়ার ফলে পানি নামতে পারছে না। ফলে ওই গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তিনি আরো বলেন, কালভার্ট দিয়ে পানি যাওয়ার ব্যাপারে এলাকাবাসিকে সাথে নিয়ে তাকে অনুরোধ করলেও তিনি তোয়াক্কা করেননি।
এ ব্যাপারে কুমরী গ্রামের আনারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,ঐ জমিটা আমার ব্যাক্তিগত সম্পতি। যার ফলে ঐ জমির উপর দিয়ে পানি যেতে দেবনা।আর এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব তিনি দিবেন না বলে ফোনটা কেটে দেন।
এ ব্যাপারে বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান বলেন,এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স যাওয়ার কথা বলেছি। তদন্ত শেষে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।
Please follow and like us: