তেঁতুলের ১০ অজানা গুণ
চিকিৎসা ডেস্ক :
তেঁতুল এমন একটি ফল যার নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। টক স্বাদের এই ফলটি পুরুষের চাইতে নারীদের বেশি পছন্দ। যদি তেঁতুল নিয়ে অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা রয়ে। যেমন- তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়। তবে এসব ধারণা একদমই ভুল। বরং তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ভেষজ গুণ।
তেঁতুল দেহে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। এছাড়াও তেঁতুলের রয়েছে আরও বিস্ময়কর অনেক গুণ। চলুন তবে তেঁতুলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-
সর্দি কাশি সারাতে সাহায্য করে
তেঁতুল অ্যালার্জি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এতে উপস্থিত ভিটামিন সি শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায়।
ক্যান্সার রোধ করে
তেঁতুলে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা কিডনি ফেলিওর এবং কিডনি ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে।
ক্ষত সারিয়ে তোলে
তেঁতুল গাছের পাতা এবং ছাল অ্যান্টি সেপটিক এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল‚ ফলে ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
ওজন কমায়
তেঁতুলে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার আছে আর একই সঙ্গে এটা সম্পূর্ণ ফ্যাট ফ্রি। রিসার্চ করে দেখা গেছে রোজ তেঁতুল খেলে ওজন কমে।
ডায়বেটিস কন্ট্রোল করে
তেঁতুলের বীজ ডায়বেটিস কন্টোল করতে সক্ষম। এছাড়াও রক্তে চিনির মাত্রাও ঠিক রাখে। এতে উপস্থিত এক ধরনের এনজাইম যার নাম alpha-amylase রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
লিভার সুরক্ষিত রাখে
দেখা গেছে তেঁতুল আমাদের লিভার বা যকৃতকেও ভালো রাখে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে নিয়মিত তেঁতুল পাতা ব্যবহার করে উচ্চ মাত্রায় মদ্যপানের ফলে ড্যামেজড লিভার অনেকটা সেরে উঠেছে।
হার্ট ঠিক রাখে
দেখা গেছে তেঁতুল খুবই হার্ট ফ্রেন্ডলি। এতে উপস্থিত ফ্ল্যাভরনয়েড ব্যাড কোলেস্টেরল কমায় এবং গুড কোলেস্টেরল বাড়ায়। এছাড়াও রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড (এক ধরনের ফ্যাট) জমতে দেয় না। এতে উপস্থিত উচ্চ পটাশিয়াম রক্ত চাপ কম করতে সাহায্য করে।
হজম শক্তি বাড়ায়‚ কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়ায়
পেটব্যথা বা কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা থেকে সমাধান পেতে চাইলে তেঁতুলের সাহায্য নিন। তেঁতুলের মধ্যে টার্টারিক অ্যাসিড‚ ম্যালিক অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম আছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এখনো আয়ুর্বেদে তেঁতুল পাতা ডায়েরিয়া সারাতে ব্যবহার হয়। এছাড়া তেঁতুল গাছের ছাল এবং শিকড় পেটের ব্যথা সারাতে ব্যবহার করা হয়।
ত্বক উজ্জ্বল করে
তেঁতুল ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রে-র হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করে। এছাড়াও যাদের অ্যাকনে আছে তাদের জন্যেও উপকারী তেঁতুল। এছাড়াও তেঁতুলে উপস্থিত হাইড্রক্সি অ্যাসিড ত্বকের এক্সফলিয়েশন করতেও সাহায্য করে যার ফলে মরা কোষ উঠে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।
পেপটিক আলসার রোধ করে
পেপটিক আলসার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পেটে এবং ক্ষুদ্রান্ত্রে হয়। এই আলসার খুবই বেদনাদায়ক। রিসার্চ করে দেখা গেছে তেঁতুলের বীজের গুঁড়া নিয়মিত খেলে পেপটিক আলসারের সেরে যাচ্ছে। আসলে তেঁতুলে উপস্থিত পলিফেনলিক কম্পাউন্ড আলসার সারিয়ে তোলে বা হতে দেয় না।