মধু-দারচিনি কর্মক্ষমতা বাড়ানো সহ দূরে রাখে বহু রোগ

চিকিৎসা ডেস্ক:

বহু কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেতে আদিকাল থেকেই মানুষ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের উপর ভরসা করে আসছে। এর মধ্যে মধু ও দারচিনি অন্যতম। এই দুটি উপাদান একসঙ্গে খাওয়ার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান যদি একসঙ্গে খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা এবং ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক মধু ও দারচিনির অন্যান্য স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে-

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

পরিবারে কেউ ডায়াবেটিস রোগী থাকলে তাকে আজ থেকেই দারচিনি এবং মধু খাওয়া শুরু করতে পারেন। কারণ এই দুই প্রকৃতিক উপাদান ইনসুলের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

প্রতিদিন পরিমাণ মতো দারচিনির পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীরে বিভিন্ন উপকারী উপাদান জমা হবে। এই উপকারী উপাদান সমূহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়

সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন পরিমাণ মতো দারচিনি পেস্ট নিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এতে স্কিনের যে কোনো সমস্যা কমে যায়। সেই সঙ্গে কোষের উপরের স্থরে জমতে থাকা মৃত কোষের স্থর সরে যায়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণচ্ছল হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বলিরেখা এবং বয়সের ছাপও কমতে থাকে।

হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এল ডি এল মাত্রা কমাতে মধু ও দারচিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এতে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। এছাড়াও মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের প্রদাহ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত মধু ও দারচিনি খেলে হার্ট ডিজিজ এবং হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকাংশ কমে যায়।

ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে

মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের করে দেয় । এতে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেয়ার আশঙ্কা কমে যায়। অন্যদিকে দারচিনিতে উপস্থিত অ্যান্টি-টিউমার প্রপাটিজ শরীরে কোথাও টিউমার হতে দেয় না। ফলে ক্যান্সার রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না।

আর্থ্রারাইটিসের প্রকোপ কমায়

নিয়মিত গরম পানিতে পরিমাণ মতো মধু এবং দারচিনি পেস্ট মিশিয়ে খেলে জয়েন্টে প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হাড়ও শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আর্থ্রারাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত দারচিনি এবং মধু খেলে স্টমাকে উপস্থিত গ্যাস বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদহজম এবং বুক জ্বালার মতো সমস্যা কমে যায়। প্রসঙ্গত, ব্লাডার ইনফেকশনের মতো রোগের চিকিৎসাতেও এই দুটি প্রকৃতিক উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)